রাজারহাটে শীতের দাপট অব্যাহত, আয় কমেছে দিনমজুর শ্রমিকদের

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত:
হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আসা হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশায় উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অব্যাহত রয়েছে শীতের দাপট। শীতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনজীবন।
শনিবার (২৫জানুয়ারি) সকাল ৬টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮শতাংশ বলে নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার ।
তিনি বলেন, ‘বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছে না এবং সূর্যের কাঙ্খিত তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ০৬-১০ কিলোমিটার।’ আজ বেশ কয়েকবার সূর্য দেখে দিয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পরিস্থিতি আরও উন্নতি হতে থাকবে। এছাড়া এবারের শীত মৌসুমে এটিই শেষ শৈত প্রবাহ বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, কনকনে ঠান্ডা ও হালকা কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ উপজেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
অপরদিকে, শৈত্যপ্রবাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।