রংপুরকে হারিয়ে প্লে অফের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল চিটাগং

একাদশ বিপিএলে নিজেদের প্রথম আট ম্যাচে আট জয়ের পর টানা তিন ম্যাচ হারল রংপুর রাইডার্স। নিজেদের একাদশ ম্যাচে খেলতে নেমে চিটাগংয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে মাত্র ১৪৩ রান তোলে তারা। স্বল্প রানের জবাবে ১৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় চিটাগং। এই জয়ে প্লে অফের পথ আরও সহজ হয়ে গেল তাদের।-খবর তোলপাড়।
রংপুরের বিপক্ষে এ জয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে আসলো চিটাগং। সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় চারে নেমে গেছে দুর্বার রাজশাহী। গ্রুপপর্বে তাদের আর কোনো ম্যাচ বাকি নেই। ফলে তাদের চোখ রাঙাচ্ছে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা খুলনা টাইগার্স। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় পরের দুই ম্যাচ জিতলেই রাজশাহীকে হটিয়ে প্লে অফে জায়গা করে নিবে খুলনা। তবে একটি ম্যাচ হারলেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে রাজশাহীর। অন্যদিকে সিলেটের পর গ্রুপ পর্বে বিদায় নিশ্চিত হলো ঢাকা ক্যাপিটালসের। ১১ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে সিলেট আর ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের উপরে ঢাকা।
শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৪৩ বলে ৪১, মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ বলে ২০, গ্রাহাম ক্লাক ১২ বলে ১৫ রান করেন। শেষ দিকে ঝড় তোলেন হায়দার আলী। ১৮ বলে খেলেন ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। হায়দার আলীর সঙ্গে ২ বলে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শামীম হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতেখার আহমেদের লড়াকু ফিফটিতে কেবল মান বাঁচানো ১৪৩ রানের পুঁজি পায় রংপুর। ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ওপেনার স্টেফেন টেইলর ৭ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ৮ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। সৌম্য সরকার থামেন ১৭ বলে ২৩ রান করে।
টেকেননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান (২১ বলে ৯) ও ইরফান শুক্কুরও (২ বলে ১)। ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারায় রংপুর। এরপর শেখ মেহেদীকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটের জু্টিতে ৪৭ বলে ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জু্টি করে রংপুরের মান বাঁচান ইফতেখার।
৪৭ বলে হার না মানা ৬৫ রান (৭ চার ও ৩ ছক্কা) করেন ইফতেখার। ২০ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন শেখ মেহেদী।
বল হাতে চিটগংয়ের হয়ে ৪৪ রানে ২ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও শামীম হোসেন। রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আকিফ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।