গোপন নথিতে শেখ হাসিনার ধর্ম ফাঁস কাণ্ডে তোলপাড়

বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) উঠে আসে একটি প্রতিবেদন। তারপর থেকে দেশজুড়ে আবারো নতুন করে আলোচনায় শেখ হাসিনা ইস্যু। গণমাধ্যমটির ডিজিটাল এবং অনলাইন দুই বিভাগেই শেখ হাসিনার সংবাদটি উপস্থাপন করা হয়।
যেখানে দাবি করা হয়, অপরাধীদের যাবতীয় অপরাধের তথ্য সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৫ সালে চালু করে ক্রিমিনাল ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস)। এটিকে প্রিভিয়াস কনভিকশন অ্যান্ড প্রিভিয়াস রেকর্ড বা পূর্ববর্তী দণ্ড ও রেকর্ডসমূহের পরিসংখ্যান (পিসিপিআর) নামেও অভিহিত করেন অনেকে। পিসিপিআরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকা ধর্ম কলামে লেখা হয়েছে ‘নাস্তিক’।-খবর তোলপাড়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যদিও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ধর্ম কলামে লেখা হয়েছে ইসলাম। আর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে ধর্ম কলাম রাখাই হয়নি।
পিসিপিআর রেকর্ড বলছে, শেখ হাসিনার নামে ব্যক্তির নাম কলামে লেখা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’, পিতার নাম: ‘মৃত শেখ মুজিবর রহমান,’ বৈবাহিক অবস্থা; ‘বিবাহিত’ লিঙ্গ লেখা হয়েছে ‘মহিলা’। ধর্মের কলামে লেখা হয়েছে; ‘নাস্তিক’। ব্যক্তির থিম কলামে বলা হয়েছে, ‘হত্যাকারী’। শেখ হাসিনার বয়স লেখা হয়েছে ৭৬ বছর। সিডিএমএসে তার একটি ছবি যুক্ত রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ফৌজদারি মামলাসংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনায় পুলিশের কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার বা সিডিএমএস অপরাধীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন থানার মামলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকারী, হত্যার চেষ্টা, হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ২০১৫ সালে ঢাকায় ও ২০১৬ সাল সারাদেশে সিডিএমএস চালু হলেও গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো সিডিএমএসে যুক্ত হয় শেখ হাসিনার নাম।
সিডিএমএস ও পিসিপিআরে শেখ হাসিনার ধর্মীয় পরিচয় ‘নাস্তিক’ লেখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সেই গণমাধ্যমকে জানান, ‘পিসিপিআর পুলিশের অভ্যন্তরীণ ও গোপনীয় বিষয়। আপনি সেটা কোথায় পেয়েছেন? আমার জানামতে আপনার তথ্য সঠিক নয়। যেখান থেকে পেয়েছেন কোনো তথ্য জানতে চাইলে ওই জায়গায় খবর নেন।’