শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
একটা ভিডিও বদলে দিচ্ছে জীবনের গতিপথ বাংলাদেশ ক্রিকেট: তৈলাক্ত বাঁশের অঙ্ক, ৩ মিটার উঠলে ২ মিটার নামে গুলেন সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযানে তুরস্কে গ্রেপ্তার ৬৫ সেনা-পুলিশ সদস্য সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না মন্তব্য করলো প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. ইউনূস পদত্যাগ করবেন না জানিয়েছে তৈয়্যব সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ রৌমারীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত-৪ রাজারহাটে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ কুড়িগ্রামে জুলাই আন্দোলনে শহীদ ৫ পরিবারের হাতে চেক প্রদান করলো জেলা প্রশাসন কুড়িগ্রামে চাক‌রি ছে‌ড়ে ২ ভাইয়ে র‌শি তৈরির কারখানা
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: উলিপুরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত জনসাধারণ 

রিপোর্টারের নাম / ১৬০ টাইম ভিউ
Update : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
oplus_2

আব্দুল মালেক, উলিপুর:
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র গুলোতে চার মাস ধরে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ নেই। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, অন্তঃসত্ত্বা মা ও জন্মনিরোধ কপাটি, ইনপ্ল্যান, ভ্যাসেকটমি, টিউবিকটমি কার্যক্রম ও সাধারণ চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। সেবা নিতে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসকরা শুধু ব্যবস্থাপত্র করে দিচ্ছেন। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা গেছে, উপজেলা ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট জনসংখ্যা রয়েছে ৫ লাখেরও বেশি। ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ১১টি। দু’জন মেডিকেল অফিসারসহ ১১ জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র চারজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। এসব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থাকলেও মিলছে না আশানুরূপ সেবা। ফলে কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে সেবা না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ লোকজনকে। এসব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গুলোতে ওষুধ নেই, চিকিৎসক ও জনবল সংকটে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

গুনাইগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের খোকা শেখের স্ত্রী মালেকা বেগম (৫২) বলেন, ‘কয়েকদিন থাকি সর্দি জ্বরে পড়ি কাহিল হয়া বিছনায় পড়ি। কোনোমতে হাসপাতালোত আসনু ডাক্তার দ্যাখে ওষুধ নেইম। আসিয়া শোনোং, ডাক্তারও নাই, ওষুধও বলে নাই। খালি হাতে ফিরি আসনো। হামরা কি বিনা চিকিৎসায় মরি যামো?’

গুনাইগাছ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওষুধ সরবরাহ না থাকায় খুব বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা ও ওষুধের জন্য আসে। তাদের ওষুধ না দিলে ব্যবস্থাপত্র নিতে চায় না।
একই ধরনের কথা বলেন হাতিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভিজিটর উম্মে সালমা। তাঁর ভাষ্য, ওষুধ ছাড়া রোগী পরামর্শ নিতে আগ্রহী নয়। কোনো রোগী আসছে না। ফলে জন্মনিরোধ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এতে জন্মহার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ধামশ্রেনী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শরিয়ত উল্ল্যা বলেন, ‘ওষুধ দিতে পারছি না। রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছি। তাদের বাইরে থেকে ওষুধ নিতে অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে রোগী কমে গেছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, কয়েক মাস ধরে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ নেই। চিকিৎসক ও জনবল সংকটে চিকিৎসা ও জন্মবিরতিকরণ কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুধু ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। ##


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর