সংবাদদাতা, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণ করার অভিযোগে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  সোমবার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে (১৩) প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম। দরিদ্র ও দিনমজুর হওয়ায় কাজের সন্ধানে ওই ছাত্রীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে থাকতেন প্রায় সময়। এ সুযোগে শফিকুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে যাওয়া আসা করত।

কপর্যায়ে শফিকুল ইসলাম তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৩ মার্চ শফিকুল ইসলাম বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে ধর্ষণ করে। এরপর কাউকে না বলার জন্য মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভয়ে মেয়েটি কাউকে কিছু না বলায় শফিকুল আবারো তাকে ধর্ষণের সুযোগ খুঁজতে থাকে। ১৪ মার্চ মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করে।

এসময় কৌশলে পালিয়ে যায় শফিকুল ইসলাম। গত রোববার মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান বলেন, মেয়ের বাবা বাদি হয়ে নারী শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেছে। গতকাল সোমবার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার করার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।