রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ৫ নেতা কারামুক্ত, নেতাকর্মীদের উচ্ছাস

রিপোর্টারের নাম / ১০৪ টাইম ভিউ
Update : মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সংবাদদাতা, পাবনা:

পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসপ্রাপ্ত আরও পাঁচ বিএনপি নেতা কারামুক্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তারা কারামুক্ত হন। এর মধ্যে রাজশাহী কারাগার থেকে চারজন ও পাবনা কারাগার থেকে একজন মুক্তি পান।

রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম আক্তারুজ্জামান, সাবেক পৌর কমিশনার শামসুল আলম ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন।

এছাড়া পাবনা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন।

এ সময় পাবনা জেলা ও ঈশ্বরদী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা কারামুক্ত নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন। দীর্ঘ বছর পর স্বজনদের কাছে পেয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এর আগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাবনা কারাগার থেকে মুক্তি পান একই মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, পৌর বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল ও ঈশ্বরদীর যুবদল নেতা মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় ওই সময় ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তম আলী এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সরকার পতনের পর ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের যৌথ বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি বাদে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনকে জামিন দেন আদালত। পরে তারা কারামুক্ত হন।

আর নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ফাঁসির ৯ জনসহ সাজাপ্রাপ্ত ৪৭ জনের সবাইকে খালাস দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর