চিলমারী-রাজিবপুর নৌরুটে ডাকাতি, রিমান্ড শেষে কারাগারে ডাকাত বাবলু

আঞ্চলিক সংবাদদাতা, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রাজিবপুর নৌরুটে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত বাবলু মিয়া বাবুলকে(৫০)দুই দিনের দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী নৌ ফাঁড়ির আইসি ইমতিয়াজ কবির।
এর আগে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)ভোরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারজানি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাকাত বাবলু মিয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র ও ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চিলমারী নৌ ফাঁড়ির আইসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, দুই দিনের রিমান্ড শেষে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত বাবলু বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ১৫ জনের একটি ডাকাতদল অংশ নেয় বলে জানায়। তারা সবাই গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্যাপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার দেওয়া তথ্যমতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকাটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারজানি ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাট থেকে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ডাকাতদল গত কয়েক মাসে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ব্রহ্মপুত্র নদে ৬টি নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এরমধ্যে তিনটি চিলমারী- রৌমারী ও রাজিবপুর নৌ পথে। চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক জলযান সরবরাহ করা হলে এই পথে নৌ ডাকাতি পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব বলেও জানান ফাঁড়ির আইসি ইমতিয়াজ কবির।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি (রবিবার)চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াইবরিশাল ঘাটের পাশে দিনদুপুরে চিলমারী-রাজিবপুর নৌপথে ডাকাতির ঘটনা ঘটায় সশস্ত্র ডাকাতদল। এ সময় আট গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় মাঈদুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তিনি রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের পাখিউড়া এলাকার বাসিন্দা।##