ঢাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল ৪ জন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল। এর থেকে রক্ষা পায়নি ঢাকাও। রেমালের প্রভাবে রাজধানীতে চলমান বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আলাদা আলাদা ঘটনায় নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।-খবর তোলপাড় ।
মৃত ৪ জনের মধ্যে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার রয়েছেন দুজন। বাকি একজন যাত্রাবাড়ির এবং অপরজন বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা।
মৃতরা হলেন, খিলগাঁও রিয়াজবাগ এলাকার রাকিব (২৫), তিনি রিকশার গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। সিপাহীবাগে রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া মরিয়ম বেগম (৪৫), যাত্রাবাড়ীতে মারা গেছেন লিজা আক্তার (১৬), তিনি টিনের প্রাচীর স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। অপরজন একজন বাড্ডার বাসিন্দা, তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মৃত রাকিবের সহকর্মী খোকন মিয়া জানান, রাকিবের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায়। তারা খিলগাঁও রিয়াজবাগ ৬ নম্বর গলিতে একটি রিকশার গ্যারেজে থাকেন। বৃষ্টির কারণে তাদের রিকশার গ্যারেজে পানি জমে ছিল। সেই পানির মধ্যে রিকশা রেখে ব্যাটারি চার্জ করছিলেন রাকিব। এ সময় সেই চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
এদিকে, মৃত মরিয়মের প্রতিবেশীরা জানান, রাত ৯টার দিকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ মক্কা টাওয়ারের পাশে একটি রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মরিয়ম নামে ওই নারী। রাস্তাটিতে বৃষ্টির কারণে হাঁটু সমান পানি জমেছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই নারীকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরিয়মের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। পরিবার নিয়ে থাকেন খিলগাঁও মেরাদিয়া কবরস্থান গলিতে। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তিনি।
মৃত লিজার পরিবারের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার পাশে টিনের প্রাচীর স্পর্শ করলে সেখান থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় লিজা। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।