রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

মধ্যরাতে জবির মসজিদে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি

রিপোর্টারের নাম / ১০৭ টাইম ভিউ
Update : মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪

সংবাদদাতা, জবি:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মধ্যরাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে পাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২৭ মে) এই অব্যাহতির আদেশ দিয়ে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি বলেন, গত ৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ইমাম মেয়েটিকে দ্রুত হলে পাঠিয়ে দেয়। এখানে ইমামের দায়িত্বে অবহেলা ছিল, তাই তাকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অন্য কোনো ইস্যু নেই।

প্রক্টর আরও বলেন, ওই নারী শিক্ষার্থী যখন ঘুমায় তখন মসজিদের লাইট জ্বালানো ছিল। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর দেখেন লাইট বন্ধ। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তো ঘটতে পারতো।

শিক্ষার্থীর সাথে ইমামের কিছু হয়েছিল কি না, তার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে প্রক্টর বলেন, ঘটনাটি এরকম মিনিংফুল কিছুই না, শুধু তার দায়িত্বে অবহেলার জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

ঘটনার বিষয়ে জানতে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধারণা, তুচ্ছ ঘটনায় নাটক সাজিয়ে ইমামকে ফাঁসানো হয়েছে। ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর গত ১৭ মার্চ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মসজিদের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম প্রবেশ করেছিলেন ও সবার সামনে বক্তব্যও দিয়েছিলেন, বিষয়টি দেশব্যাপী বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।

ওই সময়ে ইমাম কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি সকাল থেকেই উপাচার্যের জন্য মহিলাদের নামাজের স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বসার জায়গা করেছিলেন। কিন্তু প্রক্টর এসে উপাচার্য কেন ছোট জায়গায় বসবেন এমন প্রশ্ন করেন। উপাচার্য মূল মসজিদেই বসবেন এমন কথা বলেছিলেন প্রক্টর। পরে বাধ্য হয়ে মসজিদের ভেতরেই বসার ব্যবস্থা করা হয়। মসজিদের ভেতরে নারী পুরুষের একসাথে অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে ইমাম তখন মন্তব্য করেছিলেন।

এমন মন্তব্য দেয়ার পরই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধারণা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর