শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
ইউরো বাছাইয়ে জে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে লিখটেনস্টাইনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগাল। জয়ের নায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো করেছেন জোড়া গোল। অবশ্য এদিন মাঠে নামার সাথে সাথেই দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি, ফুটবল ইতিহাসে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার এখন রোনালদো।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এদিন ১৯৭তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। সবচেয়ে বেশি খেলার রেকর্ডে কুয়েতের বাদের আল-মুতাওয়াকে পেছনে ফেলেন তিনি।-খবর তোলপাড় ।
এদিন, রোনালদোর জোড়া গোল ছাড়া একবার করে জালের দেখা পান জোয়াও কানসেলো ও বের্নার্দো সিলভা।
হোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায় জোয়াও কানসেলোর গোলে। অষ্টম মিনিটে তার দূরপাল্লার ভলি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে লক্ষ্যভেদ হয়।
এরপর ম্যাচের ১৬ মিনিটে বক্সের ভেতর ভালো পজিশনে বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ জোয়াও ফেলিক্স। ২৩তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারান রোনালদো। গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাছ থেকে উড়িয়ে মারেন ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে ওই একটি গোল নিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের শটে প্রথমটি করেন বের্নার্দো সিলভা। খানিক পর কানসেলো বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রোনালদো।
৬৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১২০তম গোল করেন রোনালদো। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৬০তম ও টানা দ্বিতীয় ফ্রি কিক গোল। এর আগে আল নাসরের হয়ে সবশেষ ম্যাচে ফ্রি কিক থেকে জালের দেখা পান তিনি।
তাতে প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক ম্যাচে একশ গোলের মালিক হন রোনালদো। ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর দলের হয়ে গোল করলেন সিআরসেভেন। এই বছর ১১ ম্যাচে ১১ গোলে বুঝিয়ে দিলেন, ফুরিয়ে যাননি তিনি।
৭৮তম মিনিটে রোনালদোকে তুলে গনসালো রামোসকে নামান পর্তুগাল কোচ। শেষ দিকে বুখেলের আরও কয়েকটি সেভ ও জোয়াও মারিওর শট পোস্টে লাগলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
পুরো ম্যাচে ৮২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে পর্তুগাল গোলের জন্য শট নেয় ৩৫টি, যার ১১টি লক্ষ্যে। লিখটেনস্টাইন শট নিতে পারে স্রেফ ২টি, একটি লক্ষ্যে ছিল।