পল্লীকবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ মার্চ)। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন গ্রাম বাংলার মাটি মানুষের এই কবি। পল্লীকবি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পিতা আনসারউদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় রাজধানীর কমলাপুরে তার বাড়িতে বক্তৃতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি শাহজাহান আবদালী। আলোচনা সভায় পল্লীকবির কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন দেশের নবীন-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকসহ শিক্ষাবিদগণ।-খবর তোলপাড়।
পল্লীকবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা শুরু করেন। কবির ১৪ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় তৎকালীন কল্লোল পত্রিকায় তার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়।
কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালি। এরপর তার ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
এ ছাড়া পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশি, রাখালি ও বালুচর প্রভৃতি।