রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত/ সোহেল রানা :
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে এবং জানাতে একটি বিলের মাঝে লাল সবুজের রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে ব্যতিক্রমী অস্থায়ী ভাসমান এক দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলার রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বর্ণিল আলোকসজ্জায় চাকির পশার বিলে স্মৃতি সৌধের আদলে ভাসমান স্মৃতি সৌধটি তৈরি করা হয়। রবিবার (২৬ মার্চ) রাতে উপজেলার চাকিরপশার বিলের মাঝে এ ব্যতিক্রমী স্মৃতি সৌধটির দেখা মেলে।ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে ব্যতিক্রমী এই স্মৃতি সৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাকিরপশার বিলের পারে ভিড় জমাতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার শতশত মানুষ।
জানা গেছে, রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির নিজ অর্থায়নে মনের মাধুরী দিয়ে উপজেলার চাকির পশার বিলের মাঝে ব্যতিক্রমী অস্থায়ী একটি ভাসমান স্মৃতি সৌধ তৈরি করেন। মুলত নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে স্মৃতি সৌধটি লাল সবুজ রঙের আদলে তৈরি করা হয়। দেখলে যে কারো মনে দোলা দিবে। স্মৃতিসৌধটি। রাতে নদীর মাঝে স্মৃতি সৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শত শত মানুষ ভিড় করছে চাকির পশার বিলের পাড়ে। স্মৃতি সৌধটিতে লোহার এঙ্গেল,রড, পাতি,কাপড় ও বিভিন্ন রঙের লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। এটি লম্বা প্রায় ২১ ফিট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে স্মৃতি সৌধটি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য ঈদ পর্যন্ত বিলের মাঝেই রাখা হবে বলে ভাস্কর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
স্মৃতি সৌধটি দেখতে আসা রানা মিয়া নামের দর্শক বলেন, বিলের মাঝে স্মৃতি সৌধ। আবার লাল সবুজের রঙের রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। যা দেখতে অসাধারণ। খবর পেয়ে স্মৃতি সৌধটি সৌন্দর্য দেখতে পেয়ে চলে আসলাম। আসলেই অসাধারণ,নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না এর সৌন্দর্য।
এ বিষয়ে স্মৃতি সৌধটির ভাস্কর ও রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা মরহুম আব্দুল্লাহ্ সরোওয়ার্দ্দী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর সময় আমার বাবা এমপি ছিলেন। তাই মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত এবং জানাতে মুলতঃ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাকির পশার বিলের মাঝে অস্থায়ী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়। ১৫ দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এ কাজটি করেছি । দেখবেন নিজের ছবি নদীর মাঝে দেখতে কিন্তু ভালো লাগে। ঠিক তার চেয়েও সুন্দর লাগছে স্মৃতি সৌধটি পানিতে দেখতে। এর সৌন্দর্য রাতে উপভোগ করার মত। দিনে এটি ভালো লাগবে না। মুলত রাতের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আমরা নবীনরা এবং স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যেন এর অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে।