রংপুর, পিআইডি:

কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম। ৮ই মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোকলেছপুর ইউনিয়নে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা দিনাজপুরের কৃষকগণের উদ্দেশে বলেন, এই অঞ্চলে উৎপাদিত শস্য ও সবজি সংরক্ষণের জন্য ছোটো ছোটো সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হবে। দিনাজপুরের উৎপাদিত আম ও লিচু দেশের অন্যত্র পৌঁছানোর জন্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হবে। তিনি বলেন, দিনাজপুরে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। সরকার সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এইবার ধানের মূল্য কেজি প্রতি চার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের কৃষকদের প্রবণতা হলো- একবার কোনো ফসলের দাম বেশি পেলে পরবর্তীতে ঐ ফসল উৎপাদনে বেশি আগ্রহী হন। এতে অধিক ফলনের জন্য অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যায় না। তবে চাহিদার অতিরিক্ত ফসল যাতে বিদেশে রপ্তানি করা যায় সরকার সেই ব্যবস্থা করবে।

অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় কৃষক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার পূর্বে উপদেষ্টা দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোকলেছপুর ইউনিয়নের ঢেলপীর ব্লকে বোরো ব্রিধান-৮৮ কর্তনের উদ্‌বোধন করেন।