বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা, পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। শুক্রবার(৩মার্চ) জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
আজ সন্ধ্যা ৭টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে এসে জড়ো হন। পরে তারা সেখান থেকে মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিন পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকার ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় পুড়িয়ে দেন। বেলা ২টার পর শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় পুলিশ ও মুসল্লিরা। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। সঙ্গে রয়েছেন পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
অভিযোগ উঠেছে, মুসল্লিদের হামলায় পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা পঞ্চগড় সদর উপজেলার আহম্মেদ নগরের আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
ঘটনার সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে গিয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।’