ফুলবাড়ীতে সবাইকে কাঁদিয়ে অশ্রু জলে বাড়ি ফিরল শিক্ষক-কর্মচারী
এমদাদুল হক মিলন, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শিক্ষক-কর্মচারী বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বালারহাট আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক একরামুল হক ও অফিস সহকারী বেলাল হোসেনকে বিদায়ী সংবর্ধনা হিসাবে ক্রেস, সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচছা প্রদান করা হয়। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ কর্মস্থলে বিদায় বেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষক ইকরামুল হক খন্দকার ও অফিস সহকারী বেলাল হোসেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্যসহ শিক্ষার্থীরা।
সংবর্ধনা শেষে এক আলোচনা সভায় বালারহাট আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান রতনের সঞ্চালনায় ও বালারহাট স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বালারহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সরকার, বালারহাট আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের সহসভাপতি সেলিম হোসেন, আমন্ত্রিত অতিথি নওডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হানিফ সরকার, প্রভাষক আইয়ুব আলী, সরকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক, রতন কুমার বর্মন, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহকারী শিক্ষক জামিউল হক, সাবেক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আঙ্গুর প্রমূখ।
আলোচনা শেষে সদ্য বিদায়ী একজন সিনিয়র শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারীকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক, চেক, কোরআন শরীফ ও জায়নামাজসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও বিদায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। সবশেষে সদ্য বিদায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীকে ফুল দিয়ে সজ্জিত একটি প্রাইভেটকার যোগাযোগ স্ব -স্ব বাড়ীতে পৌঁছে দিয়েন আসেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ সহকর্মী বৃন্দরা।
সদ্য বিদায়ী শিক্ষক ইকরামুল হক খন্দকার ও অফিস সহকারী বেলাল হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রিয় সহকর্মী ও প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অজান্তে কোন প্রকার মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন। সেই সাথে আবারও অশ্রুকন্ঠে প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
বালারহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সরকার জানান মানুষ জন্মগ্রহন করলে মৃত্যুর স্বাদও দিতে হয় । সেই সাথে কোন মানুষ যদি কর্মস্থলের সুযোগ পান। সেই কর্মস্থলের শেষ দিনটিও আছে। আর শেষ দিন হলো বিদায়। আজ সেই দীর্ঘ কর্মস্থলে থাকা দুই সহকর্মীকে বিদায় দিতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্ত বিধির বিধান ও সরকারি বিধি মোতাবেক শত কষ্ট হলেও বিদায় জানাতে হয়েছে। দুই সহকর্মীর অবসর জীবন ভালো কাটুক,সুন্দর কাটুক এই কামনাই করছি।