শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদদাতা, যবিপ্রবি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন ও দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্ত আসামীরা। কোনো এক অদৃশ্য কারণে অভিযুক্তদের এখানো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
উক্ত ঘটনায় সোমবার (৩ এপ্রিল) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রাধ্যক্ষ ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান জাহিদ বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে যবিপ্রবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ শোয়েব আলী ও সালমান এম রহমানকে যথাক্রমে ১ ও ২ নাম্বার আসামি করা হয়।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ইসমাইল হোসেন। বর্তমানে তিনি ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা চললেও তাতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসমাইলের সহপাঠীরা।
আটক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। অভিযুক্তরা বারবার স্থান পরিবর্তন করার কারণে তাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে গ্রেপ্তার করার জন্য।
উল্লেখ্য, গত (২ এপ্রিল) যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নং কক্ষে আনুমানিক দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইসমাইল হোসেন নামের এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে রড, জিআই পাইপ ও বেল্ট দিয়ে নির্যাতন করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্ত ঐ শিক্ষার্থীরা। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে হল প্রভোস্ট এসে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের হল থেকে এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।