চিনের নাকের ডগায় লাদাখে ভারতের নতুন বিমানঘাঁটি
হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে চীনের সীমান্তবর্তী লাদাখে নতুন বিমানঘাঁটি নির্মাণ করছে ভারত। দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং বুধবার (১২ নভেম্বর) নির্মানাধীন ঘাঁটিটি পরিদর্শন করতে এসেছিলেন।
ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাাদাখের মুধ-নিওমা এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই বিমানঘাঁটি। খবর রয়টার্স/তোলপাড়।
এর মাধ্যমে লাদাখে এখন মোট ৪টি বিমানঘাঁটি সক্রিয় হলো। প্রায় ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিটি চীন সীমান্তের (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। এর অবস্থানগত গুরুত্বের কারণে এটি ভারতের উত্তর সীমান্তে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম বড় সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এই ঘাঁটিটি এখন যোদ্ধা বিমান, হেলিকপ্টার এবং ভারী পরিবহন উড়োজাহাজ ব্যবহারের উপযোগী। এর ফলে সীমান্ত এলাকায় দ্রুত সেনা মোতায়েন, রসদ পরিবহন এবং জরুরি প্রতিক্রিয়ায় বিমানবাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল সঞ্জীব কাপুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘নির্মানাধীন নতুন বিমানঘাঁটির যুদ্ধবিমান অপারেশন পরিচালনা করার মতো সক্ষমতা থাকবে। আমাদের দুই শত্রুর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে এই ঘাঁটি।’
দুই শত্রু বলতে পাকিস্তান ও চীনকে বুঝিয়েছেন এয়ার মার্শাল (অবঃ) সঞ্জীব কাপুর। চীনের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও সীমান্ত আছে লাদাখের।
গত শতকের ৫০- এর দশক থেকে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে বিবাদ চলছে ভারতের। সর্বশেষ ২০২০ সালে লাদাখের গালাওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত হয়েছিল ভারতীয় সেনাদের। সেই সংঘাতে ২০ জন ভারতীয় এবং ৪৫ জন চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন।
পুরোনো তিক্ত স্মৃতিকে পেছনে ফেলে সম্প্রতি ফের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করেছে ভারত এবং চীন। তবে ভারতের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে—নয়াদিল্লি এখনও বেইজিংয়ের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা আনতে পারেনি, যার নিদর্শন এই নির্মাণাধীন নতুন বিমানঘাঁটি।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রায় দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন করে ঘাঁটিটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হলো।









Chief Editor-Dipali Rani Roy