বাংলাদেশের সামনে ইনিংস জয়ের হাতছানি
স্পোর্টস ডেক্স:
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দাপট দেখাল বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে টেস্টে রেকর্ড রান সংগ্রহের পর তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সফরকারীদের কোণঠাসা করে ফেলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দ্বিতীয় দিনে মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরি এবং সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকের আশির ঘরের ইনিংসে পাওয়া শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আজ বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের জুটি। টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন টাইগার দলপতি। ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস গড়ে ডিক্লেয়ার করার পর বোলাররা আইরিশদের পাঁচ ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ২১৫ রানে পিছিয়ে আয়ারল্যান্ড। দিন শেষে ২৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৬ রান তুলেছে আইরিশরা। চতুর্থ দিনে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা।
৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পড়ে আয়ারল্যান্ড। চতুর্থ ওভারে নাহিদ রানা বোল্ড করেন ক্যাড কারমাইকেলকে। ৫ রান করে বিদায় নেন আগের ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকানো কারমাইকেল।
বিপর্যয় সামাল দিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন পল স্টার্লিং ও হ্যারি ট্যাক্টর। ৪৭ রানের জুটি গড়েন তারা। স্টার্লিংকে রানআউট করে এই জুটি ভাঙেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকানো স্টার্লিং এই ইনিংসে ৫৯ বলে ৭ চারে ৪৩ রান করেন। কিছুক্ষণ পরই তাইজুল এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ট্যাক্টরকে। ৪৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসেও জ্বলে উঠেছেন হাসান মুরাদ। পরপর দুই ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফার (৫) ও লরকান টাকারকে (৯) আউট করে বাংলাদেশকে ইনিংস জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মুরাদ।
এর আগে ১ উইকেটে ৩৩৮ রান দিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করা বাংলাদেশ আজ সকালেই দুই অপরাজিত ব্যাটারকে হারায়। গতকালের রানের সঙ্গে আজ মাত্র ২ রান যোগ করে আউট হয়ে যান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ২৮৬ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় খেলা ১৭১ রানের ইনিংসটিই তার ক্যারিয়ারসেরা।
সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া মুমিনুলও আজ হতাশ করেছেন। ১৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রান করে থেমেছেন তিনি।
৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম ব্যর্থ হয়েছেন। ৫২ বলে ২৩ রান করে আউট হয়েছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
পঞ্চম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ৬৬ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রান করে আউট হন লিটন। তবে সেঞ্চুরি করেছেন শান্ত। ১১৪ বলে ১৪ চারে ঠিক ১০০ করেই থেমেছেন তিনি।
শেষের দিকে মিরাজ ১৭, হাসান মুরাদ ১৬ রান করেন। হাসান মাহমুদ ১৩ ও নাহিদ রানা ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।









Chief Editor-Dipali Rani Roy