রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন

অনেক ঝড়-ঝাপটা পার করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে হয়েছে জানিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম / ৬১ টাইম ভিউ
Update : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

অনেক ঝড়-ঝাপটা পার করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মাসেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।-খবর তোলপাড় ।

তিনি বলেন, সাধারণত কোনও প্রকল্প শেষ হলে সেই শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়। পদ্মাসেতুর সঙ্গে যারা জড়িত, যারা জমি দিয়েছে, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এটি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠান।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা ছিল না বিদেশে গেছি, তখন বাংলাদেশের নামটা শুনলে কেউ জিজ্ঞাসা করত, এটা কি ভারতের কোনও অংশ? জিজ্ঞেস করত, এদেশে তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদেরকে হিসেব করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট, ব্যথার ছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারবো না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ?

তিনি আরও বলেন, ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রিতে বাধ সাধায় ২০০১ সালে সরকার গঠন করতে পারিনি। ওই সময় অনেক ভোট পেয়েছিলাম, কিন্তু প্রয়োজনীয় সিট পাইনি। বাংলাদেশের সম্পদ না বেচায় যদি ক্ষমতায় না আসি, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। শেখ মুজিবের মেয়ে কখনো দেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

এর আগে ২০২২ সালের ২৫ জুন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে দক্ষিণের দুয়ারে যুক্ত হয় অগ্রগতির পালক। দেশে ছড়িয়ে পড়ে উন্নয়নের দ্যুতি। সংসদ অধিবেশনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি জানিয়েছেন, এরইমধ্যে যানবাহন পারাপার এক কোটি ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। সড়ক পথের পাশাপাশি পদ্মার ওপর দিয়ে রেল পথেও রাতদিন চলছে ট্রেন। পদ্মা সেতু রেল লিঙ্কের ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজও শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। এই অংশ চালু হলে রেলপথে যশোর থেকে রাজধানীর দূরত্ব কমবে প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর