বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

চীন সফরে হতে পারে যেসব সমঝোতা সই

রিপোর্টারের নাম / ১০৫ টাইম ভিউ
Update : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

সোমবার ৯জুলাই চার দিনের সফরে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরে ঢাকা-বেইজিং উভয়পক্ষই বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ঘিরে উভয় পক্ষই ১৫টি চুক্তির প্রস্তুতিও নিয়েছে। চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে উন্নয়ন ইস্যুকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।-খবর তোলপাড় ।

গত শুক্রবার পর্যন্ত দুই দেশ নতুন ও নবায়ন মিলিয়ে অন্তত ১৫টি এমওইউ সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতিমালা, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিনিয়োগে সহায়তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা, ডিজিটাল অর্থনীতিতে সহযোগিতা জোরদার, চীন-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সেতুর সংস্কার, চীন-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সেতু নির্মাণ, ব্রহ্মপুত্রে পানি প্রবাহের পূর্বাভাস, আওয়ামী লীগ ও সিপিসির মধ্যে সহযোগিতা, দুই দেশের দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা, আম রপ্তানি, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা। এছাড়াও সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে কয়েকটি চিঠি সইয়ের কথা রয়েছে।-খবর তোলপাড় ।

এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তার অন্যতম ছিল প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উত্থাপিত বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই)। এছাড়াও চীন সুনীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি এমওইউ সইয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। জানা গেছে, এই সফরে জিডিআই ও সুনীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার দুই এমওইউ সই নাও হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে যেসব এমওইউ ও দলিল চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে এ দুটি বিষয় ছিল না। দুই দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যেহেতু আলোচনা হতে যাচ্ছে তাই কোনোভাবে জিডিআইতে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার ঘোষণাও আসতে পারে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের অন্যতম প্রধান দিক হচ্ছে রিজার্ভে ডলার ঘাটতিসহ অর্থনৈতিক সংকট মেটাতে দেশটির ঋণ সহায়তা। গত ফেব্রুয়ারিতে চীন ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ঋণ বাণিজ্য-সহায়তা (ট্রেড ফ্যাসিলিটি) হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। চীনা মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ কোটি ইউয়ানের বেশি। পরে বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবের পাশাপাশি বাজেট সহায়তার আওতায় ২০০ কোটি ডলারের ঋণের অনুরোধ জানায়। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ (প্রায় ৫ হাজার ৪০ কোটি ইউয়ানের বেশি) ঋণ নিয়ে গত জুনে বেইজিংয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনাও হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর