গাজার স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত কমপক্ষে ১৬
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে বিমান হামলায় চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত আশ্রয় কেন্দ্রে ওই স্কুল ভবন ছিল হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা আল-জাওনি স্কুল এলাকার বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে, যেসব অবকাঠামোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল।-খবর তোলপাড় ।
এদিকে ওই ক্যাম্পের আরেক বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। নুসেইরাত স্কুলে হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপ ও ধূলার মধ্যে বয়স্ক ও শিশুরা চিৎকার করছে। তারা আহতদের পাশে দাঁড়াতে ছোটাছুটি করছিল।
হামাস বলছে, শনিবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিকও রয়েছেন; তাদের পরিবারকেও নিশানা করা হয়েছিল।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের হিসাবে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার পর যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে গাজায় শতাধিক সাংবাদিকের প্রাণ গেছে।
এ বিষয়ে হামাস বলছে, নতুন করে পাঁচজন মারা যাওয়ায় যুদ্ধের মধ্যে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৮ জনে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয় বলে দাবি করে আসছে ইহুদী রাষ্ট্রটি। এর পাল্টায় গাজায় যে অভিযান ইসরায়েল চালিয়ে আসছে, তাতে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।