বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা, কুমিল্লা:
কুমিল্লার দাউদকান্দির বাসরা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় রাহাতুল ইসলাম বাঁধন (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার বাশরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত বাধনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তার মা রোকেয়া বেগম (৫০) ও ভাই সুমন সরকার (৩২)। তারা ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মাসুদ মিয়া বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
নিহতের ভাই সুমন সরকার জানান, প্রতিবেশী এএসআই ফরহাদের সঙ্গে দুই বছর আগে থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তাদের। এ বিষয়ে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। রোববার স্থানীয় দীন ইসলাম, মানিক, সাদ্দাম, হাসেম, ফরহাদ ও মেহেদীসহ ২৫-৩০ জন তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের কুপিয়ে আহত করে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাশরা গ্রামে দুই পক্ষ আধিপত্য বিস্তার করতো। একপক্ষের নেতৃত্ব দিতেন রাহাতুল ইসলাম বাঁধন। রোববার সকালে পূর্ব শত্রুরার জেরে স্থানীয় বাতেন, আবুল হাশেমসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করেন বাঁধন ও তার সহযোগীরা। পরে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুরে বাঁধনের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন বাঁধন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা ও কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় বাঁধন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।’
অভিযোগ আছে বাঁধন তার পেশাগত পরিচয়ের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতো। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি আলমগীর।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ‘রাহাতুল পুলিশের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত ছিলো। নিহত ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ ছিল। তাদের ওপর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত ছিল। হত্যার বিষয়টি তদন্ত করছি।’