‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তপ্ত হয় ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, সরকার-সরকার’, ‘রাজাকার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’-সহ বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরাও।
রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে থেকে বিভিন্ন হল থেকে বুয়েট শহীদ মিনার শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে পলাশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে বকশি বাজার মোড় দিয়ে সোয়া ২টার দিকে হলে ফিরে যান।-খবর তোলপাড় ।
এসময় শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার, আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না, তুমি কে আমই কে, বাঙালি বাঙালি’ লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।
এই বক্তব্যের প্রতিবাদে এদিন রাতে বিক্ষোভে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস ও রাজপথে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।