রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
ঢাকার তুরাগ এলাকায় এক পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে তার সৎ মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত মেয়ের নাম মুশফিকা নাজনিন মুভি। রবিবার বিকেলে তুরাগের ডি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কে পুলিশের কনস্টেবল রবিউল আলমে (৩২) বাসা থেকে তার সৎ মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।-খবর তোলপাড় ।
মুশফিকা তুরাগ এলাকার স্থানীয় একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো। তার নিজের বাবা মোবিন মোল্লা ছিলেন সৌদি প্রবাসী। বাড়ি যশোরে। প্রায় এক যুগ আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
তিন বছর আগে কনস্টেবল রবিউল আলমকে বিয়ে করেন মুশফিকার মা শ্যামলী আক্তার। এই সংসারে শ্যামলীর একটি ছেলে আছে। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়েই শ্যামলী তার দ্বিতীয় স্বামী সংসারে থাকেন।
কনস্টেবল রবিউল আলম দাবি করেছেন, তার সৎ মেয়ে মুশফিকা আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে মুশফিকার চাচা রুহুল আমিন এই মৃত্যুর পেছনে রবিউলের হাত আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তুরাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানান, ছোট ভাইয়ের সাথে মোবাইলের সিম খোলা নিয়ে ঝগড়া হয় মুশফিকার। এ থেকেই সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আড্মহত্যা করেছে বলে তার সৎ বাবা দাবি করেছেন।
তুরাগ থানার এসআই উপমা কুণ্ডু জানান, খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে দোতালার একটি কক্ষ থেকে মুশফিকার ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামানো হয়। শফিকার ছোট ভাই জানালা দিয়ে বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে বাসার সবাই আসে, এরপরে তারা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
মুশফিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে চাচা রুহুল আমিন, চাচাত ভাই মনিরসহ কয়েকজন আত্মীয় যশোর থেকে ঢাকায় আসেন। রুহুল আমিন বলেন, ও আত্মহত্যা করার মত মেয়ে নয়, খুবই শান্তশিষ্ট। যদি আত্মহত্যাই করে থাকে, তাহলে এর পেছনে বড় ধরনের কোনো কারণ রয়েছে। মুশফিকা বেশ সুন্দরি হওয়ায় এক্ষেত্রে তার সৎ বাবাকে সন্দেহের বাইরে রাখছি না। এ ঘটনার পেছনে সৎ বাবার কোনো ভূমিকা আছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা জরুরি।
এদিকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে বাবার নামের জায়গায় সৎ বাবা রবিউলের নাম থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে রুহুল আমিন বলেন, মুশফিকার মৃত্যুর পেছনে সৎ বাবার কোনো হাত থাকতে পারে।
তবে এসআই উপমা কুণ্ডু বলেন, মুশফিকার স্কুল-কলেজে বাবার নাম রবিউল আছে, মোবিন মোল্লা নেই। তা ছাড়া পরিবারের সদস্যরা যা বলেছে, তাই লেখা হয়েছে। মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
ওসি মওদুত হালদারও জানিয়েছেন, রবিউল আলম যে মেয়েটির সৎ বাবা, সেটা তারা পরে জানতে পেরেছেন। তিনি আরও জানান, মুশফিকার মৃত্যু বা বাবার পরিচয় নিয়ে তার চাচা থানায় এসে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে।