সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট সোনালী ব্যাংকে অভিনব প্রতারনা করে টাকা ছিনতাইয়ের সময় জনতার হাতে ধৃত হয়েছে এক প্রতারক। পরে সোনালী ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ তাকে রাজারহাট থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনালী ব্যাংক কুড়িগ্রামের রাজারহাট শাখায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা না থাকায় প্রতি মাসে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। রোববার(৫মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের মকর গ্রামের মৃত আঃ মজিদ খন্দকারের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৭৫) সোনালী ব্যাংক রাজারহাট শাখায় টাকা উত্তোলন করে সীঁড়ি বেয়ে নীচে নামার সময় এক প্রতারক বৃদ্ধার হাতে থাকা টাকা গনণা করে দেয়ার চেষ্টা করে। বৃদ্ধার সন্দেহ হলে চিৎকার শুরু করে। এতে ব্যাংক ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই প্রতারককে কাগজে মোড়ানো বেশ কিছু কাটা পত্রিকার রোলসহ হাতে নাতে ধরে ফেলে।
পরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আসাদুজামান এসে ধৃত যুবককে ব্যাংকের ভিতরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধৃত প্রতারককে আটক করে। ওই প্রতারকের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাপটিবাড়ি এলাকার সরকারটারি গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে ছকিবুদ্দি(৫০) বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
প্রতারনার শিকার বৃদ্ধা জানান, ২মাস আগে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে নীচে নামার সময় এ রকম এক যুবক ব্যাংক থেকে টাকা গণণার কথা বলে আমার কাছ থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা সহ ২টি চেকের পাতা নিয়ে আমাকে মোড়ানো কাটা পেপার দিয়ে পালিয়ে যায়। আজকেও(৫মার্চ) এরকম করার চেষ্টা করে। আমি বুঝতে পেরে চিৎকার দেই।
আটক প্রতারক বলেন, আমি একজন রিকসা চালক। আমার বাড়ির ৩কিলো দুরের শফিক নামের এক যুবক আমাকে লোভ দেখিয়ে এ পেশায় নিয়ে আসে। এখনো আমার রিকসা আছে। সে রিকসা আমি ভাড়া দিয়েছি। এখন শফিকের সাথে এ কাজ করি।
ব্যাংকের গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের সুনাম অনেক, এখানে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী টাকা লেন-দেন করেন। কিন্তু রাজারহাট শাখায় আজ অবধি এ ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হেয়নি। সে কারণে হর হামেশায় এ ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে টাকা খুইয়ে ফেরছেন। ছোট- বড় দূঘটনা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত ব্যাংকটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা প্রয়োজন।
ব্যাংক ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান বলেন, এই প্রতারকরা বৃদ্ধদের টার্গেট করে প্রতারনার ফাঁদ পাতে। এর আগে এ ব্যাংকের নীচে আরো ৪/৫টি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
এব্যাপারে রাজারাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, অভিযুক্তকে জেলহাজতে প্রেরণের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।