শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে ১১৯টি ভোট কেন্দ্রে ফলাফলে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে ভোট পান ৪ হাজার ৫৪২ ভোট।
বৃহস্পতিবার(২৭এপ্রিল) সন্ধ্যায় নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নোমান নোমান আল মাহমুদ ছাড়া চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, ১১৯ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৭৯ ভোট। একতারা প্রতীকের প্রার্থী মীর মোহাম্মদ রমজান আলী পেয়েছেন ৪১৫ ভোট, আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা ৫৬৮ ভোট, মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ ৪ হাজার ৫৪২ ভোট এবং চেয়ার প্রতীকে সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ১ হাজার ৭৩৪ ভোট।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন, নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৯০টি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর ওই আসনের সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এরপর আবারও আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ইসি।-সম্পাদনায় চট্টগ্রাম বার্তা সম্পাদক ।