রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত জম্মু ও কাশ্মীরের নওগাম থানায় জব্দ বিস্ফোরক পরীক্ষা করতে গিয়ে বিস্ফোরণে কমপক্ষে নিহত ৯ বাংলাদেশে তীব্র হচ্ছে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির শঙ্কা ‘কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ শ্রীবরদীতে প্রজন্ম বাতিঘর গ্রন্থাগার উদ্বোধন ফেনীতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক সভা ফুলবাড়ীতে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ফেনীতে টাইফয়েড টিকা পেলো ৪ লাখ ২২ হাজার শিশু পঞ্চগড়-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন শিশির আসাদ কুড়িগ্রাম ১ আসনে ডাঃ ইউনুছ আলী’র মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আমিও বাংলাদেশকে দিয়েছি, এবার সিদ্ধান্ত নেব জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা

প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।

তিনি বলেছেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কমিউনিটি মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর নির্ভরশীল। আমিও বাংলাদেশকে দিয়েছি। কিন্তু আমি বাংলার স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, এখানকার মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কেন্দ্র অগ্রিম চুক্তি করে দিচ্ছে। বাংলা কোনও আলোচনায় থাকতে পারছে না।-খবর তোলপাড়।

সোমবার ২৯ জুলাই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে তার আলোচনায় প্রধান প্রসঙ্গ ছিল পানিবণ্টন। ডিভিসির পানি ছাড়ার বিরোধিতা ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ এবং ভুটানের নদী প্রসঙ্গ তুলেছেন।

মমতা বলেন, ভুটানের ছাড়া পানিতে প্রতি বছর উত্তরবঙ্গের ক্ষতি হয়। বাংলাকে না জানিয়েই কেন্দ্র তাতে সম্মতি দিয়ে দেয়। এবার ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের আদলে ভারত-ভুটান নদী কমিশন গড়ে তোলার কথা বলেছেন মমতা। নীতি আয়োগের বৈঠকেও সেই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে বন্যা হলে মালদহে ভাঙন হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে ৩ হাজার ৩৭৩ হেক্টর জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। রতুয়া, কালিয়াচকে ভাঙন বাড়ছে। ১৯৯৬ সালে এই চুক্তি করার সময় জ্যোতি বসুর সঙ্গে আলোচনা করেছিল কেন্দ্র। পরে তাকে বাংলাদেশ সংবর্ধনাও দেয়। কিন্তু এবার বাংলাকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজের পাড় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আগে পালন করুক কেন্দ্র। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করুক।

তিনি আরও বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে আমি বিশদে কথা বলে এসেছি। বাংলা হল নৌকার মতো। সব পানি আমাদের রাজ্যে এসে পড়ে। আমাদের ভুগতে হয়। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রেকর্ড করে এসেছি।

পানি নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাব কেন্দ্রকে জানাতে বিধানসভার কমিটি যাবে সেচ মন্ত্রণালয়ে। মমতার বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর বিধানসভার স্পিকার বলেন, পরিষদের মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিটি গঠন করা হবে। বিধানসভায় যা আলোচনা হল, তার কপি দলের সাংসদদের কাছেও পাঠিয়ে দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, রাজ্যসভা এবং লোকসভা থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পানি-সমস্যা নিয়ে দিল্লিতে যাবে। সূত্র: আনন্দবাজার


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর