বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে দুই বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ের মাঝে আটকে পড়া আরও কয়েকজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে সৌদি আরব।
শনিবার(২৯এপ্রিল) ওই বাংলাদেশিদের একটি জাহাজে করে জেদ্দায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।-খবর তোলপাড় ।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ আমানা শনিবার প্রায় ১ হাজার ৯০০ জনকে নিয়ে রাজধানী জেদ্দার কিং ফয়সাল নৌ ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশিকে সৌদি আরব উদ্ধার করেছে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশিসহ ৫২ জন বিদেশিকে নিয়ে ওমান থেকে জেদ্দায় আসে সৌদির নৌবাহিনীর একটি জাহাজ।
এক বিবৃতিতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাজতন্ত্রের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে চলমান উদ্ধার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শনিবার সুদান প্রজাতন্ত্র থেকে উদ্ধারকৃতরা জেদ্দায় এসে পৌঁছেছেন। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০জন সৌদি নাগরিক রয়েছে।
এছাড়া ওই জাহাজে আরও প্রায় ১ হাজার ৮৬৬ জন মানুষ ছিলেন। তারা বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রুয়ান্ডা, গাম্বিয়া, ইরিত্রি, মালাওই, মেসেডোনিয়া, ফ্রান্স, ভারত, নরওয়ে, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, সিরিয়া, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, সুইডেন, কেনিয়া, তিউনিসিয়া, ইরাক, লিবিয়া, মরক্কো, জর্ডান, মরিশানিয়া, তানজানিয়া, ইরান, পাকিস্তান, কানাডা, রাশিয়া, পানামা, ইকুয়েডর, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, ভিয়েতনাম, নেপাল, বসনিয়া, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, বুরকিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, ঘানা, জিম্বাবুয়ে, বুরুন্ডি, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, তাজিকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, তুরস্ক, ইতালি, ইথিওপিয়া, চাঁদ, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, সিয়েরা লিয়ন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, বেনিন, নেদারল্যান্ডস, মিসর, সুদান, মরিশাস ও রোমানিয়ার নাগরিক।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে জাতিসংঘের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন বলে জানিয়েছে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুদানে ১৫ এপ্রিল সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) সেনাদের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৭৯ জনকে উদ্ধার করেছে দেশটি। যার মধ্যে ১৩৯ জন সৌদি নাগরিক। বাকি ৪ হাজার ৭৩৮ জন বিশ্বের ৯৬টি দেশের নাগরিক।
সুদানের দুই বাহিনীর লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ৫ শতাধিক ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চললেও দুই বাহিনী একে-অপরের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে।