এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায়

সোমালীয় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে। তবে জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করতে আরও দুই দিন সময় লাগতে পারে।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে অধীর আগ্রহে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় এখন নাবিকরা। গানে-গল্পে জাহাজের ভেতর সময় কাটছে তাদের।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।-খবর তোলপাড় ।
তিনি জানান, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে। আগামী সোমবার (১৩ মে) কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কথা রয়েছে। সেখানে পণ্য খালাস করে দুই দিন পর চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করবে জাহাজটি।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এরপর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এটি।
মুক্তির পর জাহাজটি গত ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য মিনা সাকার বন্দরে যায়। গত ৩০ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়।
১৩ মের হিসাবে জিম্মিদশার ঠিক দুই মাস পর দেশে ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক, যাদের সবাই বাংলাদেশি। জিম্মিদশার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরা নাবিকদের অপেক্ষায় পরিবার ও স্বজনরা।
কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এ রকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।