রৌমারীতে দুর্বৃত্তের কাছে রেহাই পানি মুক্তিযোদ্ধা ভবণ
আনছার আলী তুহিন, রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ, হত্যা,গুম ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান দেশের যে অবস্থা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করতে লজ্জা হয়। নয় মাস যুদ্ধ করে এই বাংলাদেশ আমরা চাইনি।
সোমবার ১১ আগস্ট সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে আ,লীগ সরকারের গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করার পর কয়েক মিনিটের মধ্যে দুর্বৃত্তরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার কমপ্লেক্স ভবনে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চালায়। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে ভেঙে তছনছ করে লুটপাট করে নিয়ে যায় ভবনে সংরক্ষিত থাকা নানা ধরনের জিনিস পত্র। এরপর কমপ্লেক্স চত্ত্বরে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ন জিনিস, চেয়ার, টেবিল, টিভি,বঙ্গবন্ধুর বই,ছবিসহ নানা জিনিস পত্রে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তার পর কমপ্লেক্স ভবনে থাকা বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ভেঙে ফেলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভেঙে দেওয়া হয় ভবনের গ্লাস। এছারাও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সাবেক এমপি,মন্ত্রী,দলীয় অফিস,দোকান পাট লুটপাট,সাধারন মানুষের বাড়িতে ভাংচুর, চুরিসহ সহিংসতা, অরাজকতার ঘটনাও ঘটে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা ভবন রাজনৈতিক মুক্ত সেখানে হামলা হয়েছে তার জন্য আমরা লজ্জিত। এই জাতরি কাছে বিচার রইল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক কমান্ডার ও বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত আব্দুল কাদের সরকার জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ভাংচুর লুটপাট ও আগুন লাগিয়ে যে অবস্থা করেছে তাতে আমাদের বলার কোনো ভাষা নেই।