সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেল পেতংতার্ন

রিপোর্টারের নাম / ৩৭ টাইম ভিউ
Update : শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪

থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হন। একদিন আগে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়। খবর রয়টার্স/তোলপাড়।

শুক্রবার ১৬ আগস্ট পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি।

পেতংতার্ন হবেন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া তিনি হবেন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তাঁর ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

গত বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ারও রায় দেন আদালত। গতকাল ফেউ থাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে। স্রেথা ও পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা।

স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করেছেন। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। তবে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।

পেতংতার্ন হলেন গত দুই দশকে থাইল্যান্ডে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া চতুর্থ ব্যক্তি। অপর তিনজনের সবাই সেনা অভ্যুত্থান কিংবা সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।

থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তাঁর স্বামী ওই শিল্প গোষ্ঠীর উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত। পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁকে দলের নেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর