সাড়ে ৯ হাজার বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার সশস্ত্র বাহিনীর
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যাকবলিত জেলাগুলো থেকে ৫৫টি বোট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও কন্টিনজেন্ট। উদ্ধারকৃতদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।-খবর তোলপাড়।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৫ হাজার বন্যার্ত লোকের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়িতে বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও কন্টিনজেন্ট নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃতদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৫ হাজার বন্যার্ত লোকের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে চিকিৎসা সহায়তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেডিকেল টিম মোতায়েন রয়েছে।
আরো জানানো হয়, বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি ২৩ আগস্ট ফেনীর ফুলগাজী থানা থেকে অন্তঃসত্ত্বা সুমি বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে কুমিল্লা সিএমএইচ-এ পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন।
এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সব পদবীর সদস্যদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জরুরি ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আইএসপিআর জানায়, ২৩ আগস্ট সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) বন্যাদুর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ সময় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিক-নিদের্শনাও দেন তারা।