বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

নোটিশ:
দৈনিক তোলপাড় পত্রিকা থেকে আপনাকে স্বাগতম। তোলপাড় পত্রিকা আপনার আমার সবার। আপনার এলাকার উন্নয়নের ভূমিকা হিসেবে পত্রিকাটির মাধ্যমে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।  এ জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা-বিভাগ-কলেজ ক্যাম্পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাংবাদিক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পত্রিকাটির পর্ষদ।  আগ্রহী হলে আপনিও এক কপি রঙিন ছবিসহ নিম্ন ঠিকানায় সিভি প্রেরণ করে নিয়োমিত সংবাদ পাঠাতে পারেন। সেই সাথে সারা বিশ্বে আপনার এলাকার প্রতিষ্ঠানের প্রচারেরর জন্য  ৫০% কমিশনে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

আমার দেখা সফিখান!

আমার অতি কাছ থেকে দেখা সফি খান। প্রথম আলো পত্রিকার সাথে জড়িয়ে যিনি কুড়িগ্রামকে আলোকিত করেছেন তিনিই সফিখান। তিনি আমার অভিভাবক আমার কলিক এবং আমার শ্রদ্ধাভাজন বড়ভাই। তাকে শুধু কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার ১১টি থানার মানুষজনই চেনেন না। দেশের মানুষ তাকে চেনেন এবং জানেন। প্রথম আলো বলতে যেমন মতি ভাই ঠিক কুড়িগ্রামে প্রথম আলো বলতে সফিখান। দু’জনেই যেন বটবৃক্ষ। অন্নপূর্ণ দেবী অন্ন যোগায় আরা দেবী দূর্গা তার দশ হস্ত দিয়ে সব কিছু নিয়ে আসেন। কিন্তু সফিখান একাই দেবী দূর্গা এবং অন্নপূর্ণা। কুড়িগ্রামের জন্য তিনি যেমন নিয়ে এসেছেন। ঠিক তেমনি সুষ্ঠভাবে পরিবেশনও করেছেন। তার উদাহরণ আমি প্রহলাদ মন্ডল সৈকত নিজেই। কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গন ও বন্যা দু’টোই অভিশাপ। নদীভাঙ্গন কবলিতদের পাশে সফিখান যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক তেমনি বন্যা কবলিতদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। ৯৯ থেকে ২০১১সালের সফিখানের কথা আমাকে ভাবিয়ে তোলে। কি রাত কি দিন চলছে তো চলছে। রাত বিরাত নেই সফিখানের। মনে হয় জিবনটাই সর্পে দিয়েছেন কুড়িগ্রামবাসীর জন্য। যেখানে নদী ভাঙ্গন যেখানে বন্যা সেখানে ছুটছেন তিনি। প্রথমই খোঁজ সমস্যার অঞ্চলে কে আছে প্রথম আলো বন্ধু সভার বন্ধু। যদি নেই পরিচিত কে আছে, তাকে ধরেই পথ চলছেন। অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মনে মনে আমি বিরক্ত হলেও সফিখানকে কিছু বলার সাহস পাই না। যদিও সফিখান কাজ করে প্রথাম আলো’তে আর আমি কাজ করি ভিন্ন পত্রিকায়। তথাপি কি যেন দু’জনের অন্তরের মিল কাউকে বুঝাতে পারি না।অবশ্য এ মিলের জন্য আরেক জনকে দায় না করলে নয়। তিনি হলেন আমার কলিক এবং বড়ভাই আলমগীর কবির। তিনিও কাজ করতেন ভিন্ন পত্রিকায়। এ সংযোগ স্থলটা মূলত আলমগীর কবিরই। দৈবৎ তার অকাল মৃত্যু ঘটে। হারিয়ে যায় আমার প্রাণ প্রিয় মানুষ শ্রদ্ধার পাত্র বন্ধুস্বজন জিবনের তরে। হতাশ হয়ে পড়ি সফিখানসহ আমরা দু’জনেই। কিছু দিন কেটে যায় এভাবে তারপর আবারো পথ চলা একসাথে। রাজারহাট না আসলে যেন সফিখানের ঘুম হয় না, পেট ভরে না। পান-চা খাওয়া হয় না। সফিখানের একটাই নেশা মসলা দিয়ে পান খাওয়া। আমিও তার দূর্বলতা বুঝে সফিখানকে একটা মসলা দিয়ে পান দিবো বলে পথপানে চেয়ে থাকি। আর একটি কথা না বললে নয়। সফিখান রাজারহাটে এসে কি না করলো। চোরকেও পূর্ণবাসন করলো। কিন্তু চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী। পূনর্বাসিত করার জন্য সফিখান চট্টগ্রামের এক বন্ধুকে নিয়ে এসে রাজারহাটের সাংবাদিক ও সুধিজনদের নিয়ে রাজারহাট থানার পাশেই চোরপাড়াকে আদর্শ পাড়ায় রুপান্তর করে দশ জন চোরকে টাকা পয়সা দিয়ে পূনর্বাসিত করেছিল। তারপর মাঝখানে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি পদ পেয়ে আমার থেকে একটু নিরুদ্দেশ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তার দুর থেকে ভালবাসা ছিল অগাধ। ভূলতে পারেনি। এর মধ্যে আমার সাংবাদিকতার খেশারত হিসেবে মাথায় ১৪টি সিলাই এবং অবশেষে পা ভেঙ্গে পঙ্গুত্ব বরণ করলাম । তথাপি সফিখান আমার থেকে দুরে সড়ে যায়নি। সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশা থেকে যাতে আমি দুরে সড়ে না যাই। সেজন্য তিনি আমাকে অকুতোভয় সাহস জুগিয়েছেন। এর পর তার অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষ এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রথম আলো’র চর নামকরণ করে স্কুল নির্মাণ করলেন। সারাদেশকে জানিয়ে দিলেন প্রথম আলো’র চর মানেই সফিখান। আজ তিনি প্রথম আলো পত্রিকায় হয়তো নেই। কিন্তু তিনি প্রথম আলো পরিবারের সাথে আজিবন রয়েছেন। এটা অনেকেরই হয়তো অজানা।সফিখান শুধু প্রথম আলো নয় সাংবাদিক-শিশু সাংবাদিক নিয়েও তার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রাজনৈতিক সামাজিক সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে রন্দে রন্দে মিশে আছেন তিনি। তার বিষয়ে অনেক কথা লিখেতে গেলে রামায়নের সাত খন্ড আর সফিখানে চৌদ্দখন্ডেও শেষ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। সকলকে ধন্যবাদ। ১৭/০৫২০২৩।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

দৈনিক তোলপাড় এর পক্ষ থেকে সকল পাঠক লেখক সাংবাদিক ও শুভানুধায়ীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, পত্রিকাটি বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ জেলা উপজেলা থানা কলেজ ক্যাম্পাস-এ এক ঝাঁক তরুন-তরুনী সাংবাদিক নিয়োগ করতে যাচ্ছে ।

আগ্রহীরা দ্রুত এক কপি ছবিসহ প্রধান সম্পাদক বরাবর আবেদন করুন.. আবেদন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpercv@gmail.com

এছাড়া বিশেষ ৫০% ছাড়ে সারাবিশ্বে প্রচারের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। বিজ্ঞাপন পাঠানোর ঠিকানা-dailytolpernews@gmail.com যোগাযোগ করুন-+88 01915394614, +8801719026700


© All rights reserved © 2017 তোলপাড়