মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে সুখবর পেল নাহিদা-জ্যোতিরা বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি শ্রীবরদীতে থানা পুলিশের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৩ সাংবাদিককে জড়ানোয় টিআইবি, সুজন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগ ও ক্ষোভ কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বিক্ষোভ মিছিল উলিপুর উপ‌জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পীরগঞ্জ সীমান্তে ৪ মাদক কারবারির ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ড উৎকোচ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, রেলওয়ের ২ এ্যাটেনডেন্ট বরখাস্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের সোনাজয়ী শ্যুটার সাদিয়া আর নেই

এ বছরই স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা!

রিপোর্টারের নাম / ৬৪ টাইম ভিউ
Update : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চলতি বছরই আগের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সে অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চিহ্নভিত্তিক মূল্যায়নের পরিবর্তে সৃজনশীল প্রশ্নে নম্বরভিত্তিক পরীক্ষায় বসবে আগামী ডিসেম্বরে। এ ছাড়া পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে।

যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২-এর মতো হবে। পাঠ্যবইয়েও আনা হবে পরিবর্তন। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হয়েছে।-খবর তোলপাড়।

‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২, নতুন পুস্তক মুদ্রণ ও চলমান মূল্যায়ন পদ্ধতি সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা প্রদান’ বিষয়ক পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যবই মুদ্রণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি জরুরি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২-এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি নানা বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে প্রতীয়মান। এ পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সেগুলো হলো প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে এরই মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে; এ ক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে, যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২-এর মতো হবে।

ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যবইগুলো ২০২৪ সালব্যাপী বহাল থাকবে, ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে; ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। শ্রেণি কার্যক্রমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ছয়টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে, সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে।

২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে আগের শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত বই) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। আগের শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রণীত বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভিত্তিক এই পাঠ্যবইগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের শিক্ষাক্রম অনুসারে পরিচালিত হবে।

যেসব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তাদের আগের শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত এবং পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) দেয়া হবে, এসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, যেসব শিক্ষার্থী ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা দিয়েছে, তারা ডিসেম্বরে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে। বই একই থাকবে। এ বিষয়ে খুব দ্রুত তাদের কাছে নির্দেশনা পৌঁছে যাবে। তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর