বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণের উৎপত্তিস্থল খুঁজতে ভবনের বাইরে ও ভেতরে পরিদর্শন করে বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট।
সিআইডি সূত্র বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের সামনের অংশে বেজমেন্টের বেজ ভিম ও পিলার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণে ভবনের নিচতলা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ভবনের বেজমেন্টের ঠিক কোন জায়গা থেকে এই বিস্ফোরণের সূত্রপাত, সেই জায়গার সন্ধানে নেমেছে পুলিশের সংস্থার ক্রাইম সিন ইউনিট। কিন্তু তদন্তে এখনো বিস্ফোরণের উৎপত্তিস্থল খুঁজে পাওয়া যায়নি।-খবর তোলপাড় ।
শুক্রবার(১০মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ শেষে এসব তথ্য জানিয়ে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ভবনের কোন জায়গা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে মূলত তার সন্ধানেই আমরা আলামত সংগ্রহের কাজ করছি। বিস্ফোরণে ভবনের কোন জায়গায় সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, সেখানের ধোঁয়া বা বিভিন্ন আলামত খুঁজে বের করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভবনের কিছু জায়গা আমরা সোয়াভিং করেছি। দেখা গেছে ভবনের গ্রিল ধরে নাড়ালে সেটি নড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেয়ালও নড়তে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে এখনো কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য বা মিথেন গ্যাস রয়েছে কি-না তা জানতেও আলামত নেয়া হয়েছে।
মো. মিজানুর রহমান বলেন, সংগ্রহ করা আলামতগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। সেগুলো পরীক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞরা বিস্তারিত জানাতে পারবেন। কিন্তু যেখান থেকে মূলত বিস্ফোরণের সূত্রপাত ঘটেছে সেই জায়গাতে আমরা এখনো যেতে পারিনি।
এদিকে বিস্ফোরণের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ক্যাফে কুইন ভবনের সামনের সড়কের একাংশ। অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ওই সড়কে চলাচলরত যাত্রী ও পথচারীরা।
ভবনটির সামনের সড়কের উভয় পাশে বেশ কয়েক গজ দূরে রয়েছে ব্যারিকেড। বিস্ফোরণের ঘটনার পর চতুর্থ দিনেও সেখানে লোকজনের জটলা দেখা গেছে। বিস্ফোরণের পর থেকেই ভবনের সামনে ফিতা টাঙিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না সেখানে। ভবনের গায়ে ঝুলছে ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ’ নামক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ব্যানার।
শুক্রবার রাজউকের কারিগরী কমিটির সদস্য রঙ্গন মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটি ঠেকনার কাজ শেষ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে ভবনটি কতটুকু ‘স্টেবল’ হয়েছে, গাড়ির কম্পন কতটুকু সহায়ক হয়েছে। প্রপিং চলছে, এই পর্যন্ত পাঁচটি সাপোর্ট খুঁটি বসানো সম্ভব হয়েছে। তবে ভেতরে ঠেকনা দেয়ার মত সাপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। সাপোর্ট খুঁটি বসানোর পর ভবনটি কতটুকু স্টেবল হয়েছে, তা নির্ণয় করে সড়কের এই অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের বিষয়ে জানানো যাবে।
তিনি বলেন, স্টেবল করার পর ভবনটি রেট্রোফিটিংয়ের উপযোগী কি-না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ৪৫দিন সময় লাগবে। উপযোগী হলে রেট্রোফিটিং করতে অন্তত এক বছর লাগবে।
বংশাল থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, সড়কের পূর্ব অংশ দিয়ে এখন গাড়ি যাতায়াত করছে। কারিগরি কমিটি বলার পর বন্ধ সড়ক খুলে দেয়া হবে।