বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৮ অপরাহ্ন
ঢাকার বাড্ডার সাঁতারকুলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফেলে দিয়ে অপু ইসলাম (৩৫) নামে ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের এক নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।-খবর তোলপাড় ।
বাড্ডা থানার এসআই মো. আব্দুস শাকুর জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এসআই জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাঁতারকুলে অপুর বাসা সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহাদৎ নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী তাকে ধরে নির্মাণাধীন ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে লিফটের ফাঁকা স্থান দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।
খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে আহত অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসক অপুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই বলেন, এই ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের মামা দীন ইসলাম জানান, অপুর বালু ও মাছের ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার ফুলের টবে দেয়া পানি শাহাদাৎ নামে এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অপুকে রাতে শাহাদাৎ তার বাসায় ডেকে নিয়ে সাততলা থেকে ফেলে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, অপু সাঁতারকুল উত্তরপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক অপু ৪১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত সোহরাব আলম।