দিল্লির সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক বজায় রাখাই ঢাকার লক্ষ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ঢাকা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দূর করে নয়াদিল্লির সাথে কর্ম-সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
শনিবার ২১সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।-খবর তোলপাড়।
৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ব্যাপারে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে একটি কর্ম-সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চালাতে হবে।’ তিনি বিশ্বাস করেন, ঢাকা-নয়াদিল্লি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। সমস্ত সমস্যা সমাধান করে, আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
দুই দেশের মধ্যে বর্তমান টানাপোড়েনের কথা স্বীকার করে হোসেন বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই টানাপোড়েন স্বীকার করতে হবে। আমরা যদি সমস্যার মোকাবিলা না করি, আমরা তা সমাধান করতে পারব না।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ইউএনজিএ’র ফাঁকে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে পৌঁছানোর আগেই মোদি নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তাই তাদের মধ্যে কোনও বৈঠক সম্ভব হবে না। বৈঠকে অনুপস্থিতির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের করা মন্তব্য ও ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাথে সম্পর্কিত কি-না জানতে চাইলে হোসেন বিষয়টি নাকচ করে বলেন, ভারতের শীর্ষ নেতারা অতীতেও মন্তব্য করেছেন। তবে এটি এমন কিছু নয় যা নেতাদের বৈঠকে বসতে বাধা দেয়।
তিনি বলেন,‘এমন কিছু ঘটনাও হতে পারে, যখন বাংলাদেশ ভারতের অনেক মন্তব্য পছন্দ করে না। এটি বড় সমস্যা নয়। আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের পরিবর্তন করতে পারি না। তবে শুধুমাত্র ভাল সম্পর্কের সাথে সহাবস্থান করতে পারি।’
তৌহিদ জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৩ সেপ্টেম্বর ৭৯তম ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে তাঁর বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা গত দুই মাসে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়টি জানাবেন এবং একটি জনকেন্দ্রিক, কল্যাণমুখী ও ন্যায়সঙ্গত রাষ্ট্র গঠনে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাসস।