সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্কের আশা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

রিপোর্টারের নাম / ৫০ টাইম ভিউ
Update : বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার দাবি, ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক বিষয় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় না।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি ও এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ভারত, এশিয়া ও বিশ্ব’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।-খবর তোলপাড়।

জয়শঙ্কর বলেন, সম্পর্ক নিয়ে আগাম কোনো ধারণায় উপনীত না হওয়ার অনুরোধ করব সবাইকে। বিষয়টা এমন নয় যে, ভারত তার সব প্রতিবেশী দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। এভাবে চলেও না। এমনটা হয়ও না। এভাবে শুধু আমরা (ভারত) না, কেউই কিছু অর্জন করতে পারে না।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে নিঃশর্তে সহায়তা করেছে ভারত। সম্প্রতি দুই দেশে সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি নয়াদিল্লির জন্য বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে—এমন মন্তব্যের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জয়শঙ্কর বলেন, দিন শেষে, প্রতিটি প্রতিবেশীর নিজস্বতা থাকে। আমরা তাদের বলব না যে, তোমাদের প্রবাহ আমাদের পছন্দ অনুযায়ী হোক। তেমন বলা আমাদের ইচ্ছাও নয়। আজকের দুনিয়ায় এটাই সত্য। প্রতিটি দেশই নিজের পছন্দ অনুযায়ী নীতি ঠিক করে। অন্যদের সেই মতো বোঝাপড়া করতে হয়। সেইভাবে এগোতে হয়।

এ প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কথা ওঠে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যদের থেকে বাংলাদেশের বিষয়টি একটু আলাদা। গত এক দশকে আমরা এমন কিছু প্রকল্পে কাজ করেছি যা উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেড়েছে। এ অঞ্চলের লজিসটিক খাতের উন্নয়ন হয়েছে।

জয়শঙ্কর এ কথা বলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর। বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সূত্রগুলো ওই বৈঠককে কার্যকর, ইতিবাচক ও গঠনমূলক হিসেবে বর্ণনা করেছে।

জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিটি দেশ তাদের নিজেদের ভাবনা অনুযায়ী চলে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আপনাকে যেকোনো বিষয় জেনে, বুঝে সে অনুযায়ী সাড়া দিতে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে সব কিছুর শেষে, আমরা অনুধাবন করব যে প্রতিবেশী হিসেবে আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এক দেশ অপর দেশের উপকারে আসতে পারে। এতেই সবার স্বার্থ নিহিত। বাস্তবিকতাই সম্পর্কের গতি প্রকৃতি ঠিক করে দেয়। ইতিহাসের শিক্ষা তেমনই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর