বিপৎসীমার ৩১ সেন্টারমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি
আঞ্চলিক সংবাদদাতা, কুড়িগ্রাম:
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুড়িগ্রামের তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে কিছু কিছু এলাকায় ধান ক্ষেত বাদাম ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষজন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকাল ৯ টার তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র দুধকুমারের পানি বিপদ সীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং কয়েকশ হেক্টর ফসলের পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাজারহাট উপজেলার খিতাব খা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে আধা পাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও বাকিসব পানির নিচে তলিয়ে গেছে।আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।
আরেক কৃষক নুর ইসলাম বলেন, আমার শাক সবজি, ও বাদাম ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন পানি হবে চিন্তাও করতে পারি নাই।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত পানি নিচে তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয় ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায় নাই।##