পীরগঞ্জে প্রতিপক্ষের আক্রমনে সাংবাদিক সহ ৪ জন আহত

সংবাদদাতা, পীরগঞ্জ( ঠাকুরগাঁও):
পীরগঞ্জ উপজেলার ১০নং জাবরহাট ইউনিয়ন হাটপাড়ায় জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক শত্রুতার জেরে সাংবাদিকসহ ৪ জন আহত।
শনিবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, সইদুর রহমানের স্ত্রী আক্তারা বেগম, মেয়ে লাকী খাতুন, রেজাউল করিম এর স্ত্রী লিপিয়ারা বেগম ও মো: রেজাউল করিম, সাংবাদিক।
আহত রেজাউল করিম জানান, জমিসংক্রান্ত বিষয় ও পারিবারিক শত্রুতার জেরে আমরা ইয়াতিম হওয়ায় আমার ছোট চাচা ওবাইদুর রহমান, চাচি মার্জিনা এবং চাচার ছেলে মাহবুর আলম, ছেলের বউ মাহফুজা জোরপূর্বক নিজেদের ইচ্ছে মতো রাস্তার পাশে নিজ অংশের চেয়ে বেশি জমি দখল এবং ভালো ফসলি জমিগুলো ভোগ দখল করে চাষ আবাদ করছেন।
এছাড়া গ্রামবাসী ও আজিমউদ্দিনের বড় ছেলে সফিকুল ইসলামসহ পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে শারীরিক, মানসিক ও আর্থীক ভাবে নির্যাতন করেই আসছে। জানাযায় তারা জনবল ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেশ ক’য়েকবার মারপিট করতেও বাদ দেয়নি বড় ভাই ও ইয়াতিম ভাইস্তাদের। তারপরেও কিছুদিন আগে ছোট চাচা ওবাইদুরের সাথে বাবার অংশের জাগায় ছোট একটি গোডাউন করার বিষয় নিয়ে কথাও বলেন রেজাউল করিম সাংবাদিক। তাই ২৪ এপ্রিল মিস্ত্রী কাজ শুরু করলে পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দা,শাবল,লাঠি রোড নিয়ে আতঙ্কিত ভাবে হামলা করে এবং মাহবুর আলম তার বড় আব্বা নুর মোহাম্মদকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দুই হাত দিয়ে কঠিন ভাবে গলা চেপে ধরলে নুর মোহাম্মদ গাংরাইতে থাকেন। জামাই রেজাউল করিম শ্বশুরকে বাঁচার জন্য ঘটনাস্থলে আসলে মাহবুর আলম নুর মোহাম্মদকে ছেড়ে রেজাউলকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে মাথায় ডাং মারলে রক্ষার জন্য বাম হাত দিয়ে বাঁধা দেওয়ায় হাতের কব্জির নিচে ভেঙে যায়। এবং বিভিন্ন জাগায় ভিষণ আঘাত লেগে ফোলা জখম হয়, পরে অজ্ঞাত একজনের অটোতে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও প্রতিপক্ষরা খোঁজ খবর না নিলে থানায় অভিযোগ করেন, পরে সাবেক ইউপি সদস্য মো: আইনুল হক, ও মাহবুর এর মামা লতিফুর রহমানসহ বেশ কিছু লোকজন পারিবারিক ভাবে বসে মিমাংসার জন্য হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। পরদিন ১০নং ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, ইউপি সদস্য সাহের আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আইনুল হক মিমাংসায় বসলে সময় সল্পতার কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় কথা হয় সামনে বুধবার জমি মাপা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার জমি মাপ হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন কিছু মানুষ ও ১০নং ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া নির্বাচনী ক্ষোভ দেখিয়ে প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়ে রেজাউল করিম এর গেট বরাবর মেপে জমি বের করে।
ততক্ষণাত বিষয়টি নিয়ে কথা উঠলে চেয়ারম্যান জানান উপজেলা নির্বাচন শেষে বিষয়টি নিয়ে বসা হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্বাচন শেষের দ্বিতীয় দিনে ১ জুন পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষ মাহাবুর ও পরিবারের সবাই, দক্ষিণ নওপাড়ার মাইন উদ্দীনের ছেলে অফিস সহকারী জমিরুল ইসলাম, মাহবুর এর মামা লতিফুর রহমান এবং সকল মামা খালার ছেলেরাসহ কিছু মাদক ব্যবসায়ী, সুদখোর ও বাইর থেকে ডেকে নিয়ে আসা একদল সন্ত্রাসী একজোট হয়ে রেজাউল ও ফুপাতো বোন আক্তারা বেগম এর বাড়ির গেট এবং ফসলি জমিতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দা,শাবল,লাঠি রড,তালোয়ার দিয়ে আতঙ্কিত ভাবে হামলা করায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করাসহ স্বর্ণের চেইন, দুল ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও ৪ জনকে ভিষণ ভাবে মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম, বাম হাতের হাড়ফাটা ও ক্ষত করে প্রতিপক্ষরা। পরে অজ্ঞাত একজনের অটোটে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। বর্তমান দু’পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে, তার পরেও গত সপ্তাহে রেজাউল করিম এর প্রাচীরের মাটিগুলো বাদিরা জোরপূর্বক কেটে নিয়ে গেলে বাঁধা দেয়।
এসময় মাহবুর সব মামা, খালার ছেলেদেরসহ মামা লতিফুরকে নিয়ে আবার বড় চাচা নুর মোহাম্মদকে মারতে যায় এবং গেট বন্ধ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়। বর্তমান পরিবারের সবাই আতংকে আছে বলে জানা যায়।