শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন

কারামুক্ত আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

রিপোর্টারের নাম / ৪৩ টাইম ভিউ
Update : বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

সংবাদদাতা, গাজীপুর:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারামুক্ত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় তাকে সংবর্ধনা জানাতে কারাফটকের সামনে ভিড় করেন তার কয়েকশ সমর্থক। মাহমুদুর রহমান বেরিয়ে আসতে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা। এরআগে দুপুরের দিকে তার জামিন সংক্রান্ত আদেশের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে বিকেলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২–এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে তাঁর (মাহমুদুর রহমান) জামিনের কাগজপত্র দুপুরে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই করে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

কারাগার থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মাহমুদুর রহমান কোনো কথা বলেননি। গাড়িতে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেইসঙ্গে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মাহবুবুল হক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত (মামলা দায়েরের সময়) বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে (সাবেক) প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। এর আগে এ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

সেসময় মাহমুদুর রহমান পলাতক (দেশের বাইরে) থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় একটি ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর