বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
কাম লালসা, যৌন লালসা নিয়ে সোজাসাপ্টা কথা বলেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল দেবগন। তিনি বলেছেন, ‘জীবনে দুটো জিনিস আমার নেই। যৌন আকাঙ্ক্ষা আর লজ্জা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি। ওয়েব সিরিজ ‘লাস্ট সিরিজ’-এর দ্বিতীয় পার্টে দেখা যাবে কাজলকে। অমিত শর্মার এ সিরিজটি মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে। আর সেই ওয়েব সিরিজেই যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কথা বলেন তিনি।-বিনোদন তোলপাড় ।
ওই সাক্ষাৎকারে পুরোনো দিনে ফিরে গেছেন কাজল৷ কোরিওগ্রাফার সরোজ খানকে নিয়ে মুখ খুলেছেন নায়িকা৷ যা শুনে হতবাক হয়েছেন কাজলের ভক্তরা৷ বলিউডে সিনেমার পর্দায় এক সময়ের ঝড় তোলা নায়িকা কাজল জানান, নব্বইয়ের দশকের ‘ইয়ে দিল্লাগি’ ছবির রোম্যান্টিক গান ‘হোঁটো পে ব্যস তেরা নাম হ্যায়’-এর শ্যুটিংয়ের সময় আর একটু হলেই কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের থেকে চড় খাচ্ছিলেন কাজল৷
কাজল নিজেও স্বীকার করেছেন, রোম্যান্টিক গানের দৃশ্যে লাজুক হয়ে কীভাবে অনস্ক্রিনে আবেদনময়ী হয়ে উঠতে হবে, তা বুঝে উঠতেই পারছিলাম না ৷ এমনকী গানের শ্যুটিংয়ে চোখের পাতা নামানোর পর যে নম্র আচরণ করতে হবে সেটা পর্যন্ত রিলেট করতে পারছিলাম না৷
যৌনতা সম্পর্কে কাজল বলেন, এ রকম কোনও দৃশ্যে অভিনয় করতে কোনওদিনই পারিনি৷ যে কোনও বোল্ড দৃশ্যের জন্যই বরাবরই পরিচালকদের উপরেই নির্ভর করতে হয়৷ নিজের ভেতর থেকে কিছুই আসে না৷ আর এই কারণের জন্যই সরোজজি মারতে পর্যন্তও চেয়েছিলেন৷ এত কিছুর পরও শেষ পর্যন্ত হাসিও থামাতে পারিনি আমি এবং সইফ৷ আমাদের অসভ্য পর্যন্ত শুনতে হয়েছিল সরোজ জির কাছ থেকে৷
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি বলে, এই একটু লজ্জা পাও, আমি তাকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করি, কীভাবে পাব বলে দাও। ওরা আমায় দেখিয়ে দেয়, আর তখনই চোখ নিচু করে আমি লজ্জা পাওয়ার অভিনয় করি। আমার মধ্যে ওই অনুভূতিটাই নেই, কিন্তু যদি আমায় বলে দেয়া হয় আমি ঠিক তা করে নেই।
ওয়েব সিরিজ নিয়ে কাজল বলেন, ‘শুরুতে ওটিটিতে কাজ করার বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলাম না। আমি অমিতকে (পরিচালক) প্রথম যে প্রশ্নটি করেছিলাম সেটা হলো, এটার জন্য আমাকে কেন ভেবেছেন? উনি জোর দিয়েছিলেন আমি যেন চিত্রনাট্যটা পড়ি। তিনি দেখতে বলেছিলেন, এই গল্পে আমি নিজেকে খুঁজে পাই কিনা; কিন্তু আমি যখন প্রথমবার চিত্রনাট্য শুনেছিলাম তখন মনে হয়েছিল কই এখানে তো নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না। তবে পুরোটা পড়ার পর চিত্রনাট্য এতটাই আকর্ষণীয় মনে হয়েছে যে, শেষপর্যন্ত কাজটি করতে হ্যাঁ বলে দিয়েছি। আসলে এটাই ছিল আমাকে দিয়ে কাজ করাতে পরিচালকের ট্রিক্স।’