রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত জম্মু ও কাশ্মীরের নওগাম থানায় জব্দ বিস্ফোরক পরীক্ষা করতে গিয়ে বিস্ফোরণে কমপক্ষে নিহত ৯ বাংলাদেশে তীব্র হচ্ছে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির শঙ্কা ‘কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ শ্রীবরদীতে প্রজন্ম বাতিঘর গ্রন্থাগার উদ্বোধন ফেনীতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক সভা ফুলবাড়ীতে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ফেনীতে টাইফয়েড টিকা পেলো ৪ লাখ ২২ হাজার শিশু পঞ্চগড়-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন শিশির আসাদ কুড়িগ্রাম ১ আসনে ডাঃ ইউনুছ আলী’র মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সাহিত্যে নোবেল পেল দ. কোরিয়ান লেখক হান ক্যাং

প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

সাহিত্য জগতে অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান ক্যাং।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সুইডিশ একাডেমি তার নাম ঘোষণা করে।-খবর তোলপাড়।

সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, হান ক্যাংকে তার ‘গভীর কাব্যিক গদ্যের’ জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তার এসব সাহিত্যকর্মে পূর্বের যুগে সাধারণ মানুষের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতন এবং মানবজাতির ভঙ্গুরতার বিষয়টি ওঠে এসেছে।

হান ক্যাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াঞ্জুতে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ বছর বয়স হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে রাজধানী সিউলে চলে আসেন তিনি। তার পরিবারও সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাবা ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। এছাড়া গান ও সংস্কৃতির প্রতিও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন হান ক্যাং। যা তার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ান এই লেখিকার সবচেয়ে আলোচিত সাহিত্যকর্ম হলো (২০০৭; ‘দ্য ভেজেটেরিয়ান’, ২০১৫)। এটি তিন খণ্ডে লেখা হয়েছে। এটিতে এক নারীর গল্প তুলে আনা হয়েছে। যিনি মাংস খেতে অস্বীকৃতি জানানোর পর কীভাবে তার স্বামী, বাবা এবং অন্যান্যদের দ্বারা নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি পদক এবং ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পান। নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল। তার ইচ্ছা অনুসারে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেয়া হয়। চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে যারা অবদান রাখেন তাদেরকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত।

বরাবরের মতই চিকিৎসা বিভাগের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে সোমবার চলতি বছরের নোবেল মৌসুম শুরু হয়। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার ওপর আলো ফেলার স্বীকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যাম্ব্রস ও গ্যারি রাভকুন এ বার চিকিৎসার নোবেল জিতেছেন। মঙ্গলবার ঘোষণা হয় পদার্থবিদ্যার নোবেল। যাদের গবেষণার মধ্য দিয়ে ‘মেশিন লার্নিং’ বা যন্ত্রকে শেখানোর পথ খুলে গিয়েছিল, সেই দুই বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের জন জে হপফিল্ড এবং কানাডার জেওফ্রে ই হিন্টন চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন।

এরপর বুধবার ঘোষণা করা হয় রসায়নের নোবেল। প্রাণের অপরিহার্য জৈব অণু প্রোটিনের জটিল গঠন রহস্য উন্মোচনে ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার এবং ব্রিটিশ গবেষক ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পারকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নোবেল পুরস্কার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর