শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজারহাট আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকগনের সাথে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সংলাপ রাজারহাটে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ও শতভাগ শিশুর জন্য জন্ম নিবন্ধন এবং বিবাহ রেজিস্টেশন বিষয়ক ক্যাম্পেইন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রির্পোট করায় ফেনীতে ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা চিলমারীতে ভুয়া সাংবাদিককে মাদকসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী ২য় পর্যায়ে লাইট হাউজ এর উদ্যোগে চর রাজিবপুরে দুযোর্গকালীন সময়ে নারী ও কিশোরীদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প: ৫১টি আফটারশক নতুন দলের টাকা আসে কোথা থেকে? বললো রংপুরে রুমিন ফারহানা এবার গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পরীমণির মামলা মাদ্রাসাগুলোতে প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য কাতার চ্যারিটির সহায়তা কামনা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে জানালো তারেক রহমান

শান্তিতে নোবেল পেল পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদানকায়ো

রিপোর্টারের নাম / ৬৬ টাইম ভিউ
Update : শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতলো জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদানকায়ো। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টা (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা) নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে এবারের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এটি হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলন, যা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন, হিবাকুশা নামেও পরিচিত এই সংগঠনটি “পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টা এবং এই বিপর্যয়কে নিজের চোখে দেখে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সবার সামনে তুলে ধরে পারমাণবিক অস্ত্র আর কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়” এমন প্রচরণার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছে।-খবর তোলপাড়।

মূলত নিহন হিদানকায়ো একটি পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী সংগঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদেরকে নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে পরমাণু-অস্ত্র বিরোধী প্রচারণা শুরু করে ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি।

জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলছেন, “১৯৪৫ সালের আগস্টের পারমাণবিক বোমা হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলনের উদ্ভব হয়েছিল যার সদস্যরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।”

হিবাকুশারা বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের কাছে পরমাণু বোমার ধ্বংসাত্মক পরিণতি এবং মানব জীবনে এর ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তাদের সাহসী প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নিহন হিদানকায়ো। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বিশ্বে আর কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে দেয়া উচিত নয়।

এর আগে, ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি। ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ। ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তিনবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পেয়েছে দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর