সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ:

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়া বুলবুলের সাড়ে ২১ মন ওজনের গরুর মাংস পেয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার ৮০০টি দরিদ্র-অসহায় পরিবার। ক্রস ব্রাহমা প্রজাতির এ গরুটিকে কোরবানি দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা, শেখ হাসিনা, বুলবুল, তার স্ত্রী ইসরাত জাহান ও তার বাবা আবু তাহের বেপারীর নামে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা উত্তরপাড়া এলাকার বুলবুল আহমেদ (৩৭) এ গরুকে নিজ বাড়িতে কোরবানি শেষে তা বিতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন উপস্থিত থেকে দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে এর মাংস বিতরণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুলবুল আহমেদ নিজে পালন করা সাড়ে ২১ মন ওজনের শান্ত নামে এ গরুটি কোরবানির ঈদে উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গত ৯ জুন সন্ধ্যায় গণভবনে কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন বুলবুল আহমেদের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপহারের গরুকে গ্রহণে সম্মতি দেন এবং বুলবুলকে নির্দেশ দেন নিজের বাড়িতে একে কোরবানি দিয়ে দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে এর মাংস বিতরণের।

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহার দিন দুপুরে এর কোরবানি করা হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এর মাংস বিকেলে মশিউর রহমান হুমায়ুনের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৬৩ জন ও স্থানীয় নেতাকর্মীসহ ৮০০ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়া গরুর কোরবানি দেখতে ঈদের নামাজের পরেই বুলবুল আহমেদের বাড়িতে লোকজনের ভিড় জমে।

কোরবানির পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে জানান, কোরবানির গরুতে ৫৬৫ কেজি মাংস হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এই মাংস স্থানীয় দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার উদ্দেশে বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ২০২০ সালে নেত্রকোণা জেলা থেকে আড়াই লাখ টাকায় এ গরু ক্রয় করেন। গরুটি যেন সবসময় সুস্থ থাকে এবং ইচ্ছা পূরণ হয় সেজন্য কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ৫ হাজার টাকাও দান করেন এ দম্পতি।-সম্পাদনায় দিপালী রানী রায়।