বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১২ অপরাহ্ন
পুলিশের গুলিতে কিশোর নাহেলের মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। এরই মধ্যে দাঙ্গা ও সহিংসতায় রূপ নিয়ে এই প্রতিবাদ। সেই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ৪৫ হাজার পুলিশ ও সাজোয়া যান নামিয়েছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর লিয়নে টহল দিচ্ছে পুলিশের হেলিকপ্টার। শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।-খবর তোলপাড় ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিন ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল টিএফ ওয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি এবং প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরের হালনাগাদ তথ্য রাখছি।
সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে কিনা— প্রশ্নের উত্তরে ডারমানিন বলেন, একদম স্পষ্টভাবে বলতে গেলে আমি বলব—আমরা কোনও সম্ভাব্য সমাধান এড়িয়ে যেতে চাইছি না। সামনের কয়েক ঘণ্টা আমরা দেখব, তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যে পন্থা বেছে নেবেন— তা কার্যকর করা হবে।
ফ্রান্সে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত মঙ্গলবার থেকে। ওইদিন সকালে প্যারিসের উপশহর নানতেরে ট্রাফিক বিধি অমান্য করে জোরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে নাহেল এর নামের ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নাহেল তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি নিয়ে সরে পড়ার চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন পুলিশ সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাহেলের।
নাহেলের পরিবারের সদস্যরা আলজেরিয়া থেকে গিয়ে ফ্রান্সে স্থায়ী হয়েছেন। তাদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো নয়। প্যারিসের নানতের উপশহরটি মূলত দরিদ্র অধ্যুষিত এলাকা। সেখানেই মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। নাহেল ও তার মা মৌনিয়া ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাত থেকে ফ্রান্সজুড়ে চলা এই সহিংসতায় ৪২১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।
প্যারিসের হাউটস দ্য সেইন অঞ্চলে, সেইন সেইন্ট দেনিসে এবং ভাল দে মার্নে থেকে ২৪২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।