বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২০ অপরাহ্ন
টিভির জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় ‘কাইজ়ার’ সিরিজ়ের পর থেকে। এ বার রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় পা রাখলেন আফরান নিশো।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে আফরান নিশোর প্রথম ছবি ‘সুড়ঙ্গ’। টিকিটের চাহিদা একদম শীর্ষে। শুধু নিজের দেশেই নয় কলকাতায়ও মুক্তি পেতে চলেছে সেই ছবি। ছবিটি মুক্তির পর থেকে দর্শক ব্যাপক সাড়া দিয়েছে।-বিনোদন তোলপাড় ।
পাঁচ দিন হয়েছে মুক্তি পেয়েছে ‘সুড়ঙ্গ’। এর মধ্যেই সে সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়ানো হয় নিশোর ছবির। চলছে অগ্রিম বুকিং। সিনেমা হল মালিকদের কথা অনুযায়ী, ব্লকবাস্টারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এই ছবি।
ছবির অন্যতম প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানান, ছবিটিকে ঘিরে এমন উন্মাদনা যেন তোলপাড়। সাম্প্রতিক ‘হাওয়া’ ছবিটি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়। ব্যাপক সাড়া পায় সেই ছবি। ‘হওয়া’এর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এ বার ‘সুড়ঙ্গ’মুক্তি পেতে চলেছে কলকাতায়।
এ বিষয়ে ভারতের গণমাধ্যমেও কথা বলেন ছবির অন্যতম প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।
‘সুড়ঙ্গ’ ছবিটির ড্রিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব নিয়েছে এসভিএফ। এরমধ্যেই সেন্সরের জন্য পাঠানো হয়েছে ছবিটিকে। জানা যায়, আগামী ২২ জুলাই কলকাতায় মুক্তি পাবে ‘সুড়ঙ্গ’।
এ মাসেই কী কলকাতায় দেখা যাবে নিশোর ‘সুড়ঙ্গ’? ‘হওয়া’এর সাফল্যে দেখেই কি ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সিদ্ধান্ত নিলেন ছবির প্রযোজকরা? শাহরিয়ার বলেন, নাহ্, অন্য কোনও ছবির সাফল্য দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমাদের মনে হয়েছে, এই ছবির গল্পে জোর রয়েছে যা পশ্চিমবঙ্গের দর্শক পছন্দ করবেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া। আমাদের কনটেন্টটা এমনই, যা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য তৈরি করেছি। আমার মনে হয় সুড়ঙ্গ-এর গল্পে একটা মনস্তাত্ত্বিক দিক রয়েছে যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে চায়।
প্রযোজকের দাবি, মুক্তির সময় বাংলাদেশের ৭টি সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি পঞ্চম দিনের আগেই বাড়িয়ে ৩৪টি করা হয়েছে। সিনেমা হল মালিকদের পক্ষ থেকে যা সাড়া পাচ্ছি, তাতে এই ছবি ব্লকবাস্টার হতে চলেছে। এখন অবস্থা এমন যে, ছবি দেখতে চাইলে টিকিট ৩ দিন আগে কাটতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে বোঝাই যাচ্ছে দর্শকদের চাহিদা।
কিন্তু বাংলাদেশের ছবি কলকাতায় মুক্তি পেতে গেলে বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। যেমন কয়েক দিন আগে ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। সে ক্ষেত্রে সাফটা চুক্তির মাধ্যমে ছবিটি নিয়ে যাওয়া হয়। বিনিময়ে বাংলাদেশের ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবিটি মুক্তি পায় ভারতে। তা হলে কি ‘সুড়ঙ্গ’র ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হতে চলেছে?
শাহরিয়ার বলেন, ভারতের প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ থেকে সেন্সরে ‘সুড়ঙ্গ’ জমা দেয়া হয়েছে। এটি কোনও ছবির বিনিময়ে যাচ্ছে না। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ভারত থেকে কোনও ছবি এ দেশে এনে দেখাতে হলে বিনিময়ে এ দেশের একটি ছবি সেখানে মুক্তি দিতে হবে। যেহেতু এসভিএফ ভারতের একটি কোম্পানি, তারা এ দেশ থেকে ছবিটি নিয়ে যাচ্ছে। তাই বিনিময়ের প্রয়োজন নেই।
তবে ২২ জুলাই তারিখটি চূড়ান্ত! সে প্রসঙ্গে এসভিএফের মুখপাত্র বলেন, নাহ্, এখনই তারিখ বলা যাচ্ছে না। আগে ছাড়পত্র পাই। তবে খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে। শাহরিয়া একই কথা বললেন। প্রাথমিক ভাবে ২২ জুলাই তারিখটি নির্বাচন করা হলেও ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে তারিখ ঘোষণা করতে পারছেন না তারা।