মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলাটি ‘সঠিক এবং বৈধ’ বলে রায় দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। একই এই মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে যে আপিল করেছিলেন রাহুল তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারক বলেন, স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে কোনোভাবেই আবেদনকারীর (রাহুল) সঙ্গে অবিচার করা হবে না। স্থগিতাদেশ দেয়ার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যৌক্তিক, ন্যায়সঙ্গত এবং বৈধ।-খবর তোলপাড় ।
বিচারক আরও বলেন, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা বিচারাধীন। তারপরও তিনি স্থগিতাদেশ চান একেবারে অযৌক্তিক ভিত্তিতে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া তো ন্যায়বিচার নয়।
এর ফলে আসন্ন বর্ষা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবে না রাহুল গান্ধী, যা আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কার বিষয় হলো সুপ্রিম কোর্ট যদি হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন তাহলে রাহুলকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করাও তার জন্য সম্ভব হবে না। তবে দায়রা আদালত তার কারাদণ্ডের বিষয়টি আপাতত স্থগিত রাখায় এখনই তাকে জেলে যেতে হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুল গান্ধীকে ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিলেন, ২০ এপ্রিল সুরাট অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা যে রায় বহাল রেখেছিলেন, শুক্রবার তাতেই সায় দিল গুজরাট হাইকোর্ট। অর্থাৎ রায়ের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর রিভিউ পিটিশন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন গুজরাট হাইকোর্ট।
এর আগে ২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপনাম ‘মোদি’ নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা দায়ের করেন গুজরাট বিজেপির এক নেতা।