বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে কেন বিজ্ঞাপন দিতে হবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন রাখন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সম্প্রতি একটি খোলা চিঠি দেন ৪০ বিশ্বনেতা। যৌথ এ চিঠি মঙ্গলবার (৭ মার্চ) প্রকাশ করা হয়। চিঠিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পূর্ণ বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।-খবর তোলপাড় ।
ওই চিঠির প্রসঙ্গ টেনে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি যখন কাতারে ছিলেন, তখন ৪০ জন বিদেশি নাগরিকের একটা বিবৃতি বা একটা আপিল সেটা আপনার কাছে বা আপনার দপ্তরে পৌঁছেছে কিনা বা আপনি দেখেছেন কিনা এবং এটা ওয়াশিংটন পোস্টেও বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে আপনার অ্যাড্রেসে এটা পাঠানো হয়েছে। আপনি পেয়েছেন কিনা আমি এটা জানতে চাই। এ বিবৃতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য আশা করছি।
ওই প্রশ্নের উত্তরে সরকারপ্রধান বলেন, এটা বিবৃতি ঠিক না। এটা একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন) এবং যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে।
শেখ হাসিনা বলেন, এর উত্তর কী দেব জানি না, তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আমার প্রশ্নটা হলো, যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্যই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন; আর কিছু না।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপন কেন দিতে হলো? যে যাই হোক, আমার দেশে কতগুলো আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সেটা চলে। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যারা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয়, সেটার আলাদা বিভাগ আছে, ট্যাক্স আদায় করে। কেউ যদি এখন এ সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে; সেটা দেখে। এই ক্ষেত্রে তো আমার কোনো কিছু করার নাই সরকারপ্রধান হিসেবে। কাজেই আমাকেই বা কেন এখানে বলা হলো? এর বাইরে আমি আর কী বলব! পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। খালি এইটুকু সবাইকে স্মরণ করে দিলাম।