চলে গেল অভিনেতা মাসুদ আলী খান
চলে গেল একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেতার পরিবারের সদস্য শারমিনা আহমেদ ও অভিনেতার সহকারী রবিন মন্ডল।
বৃহম্পতিবার ৩১ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর গ্রীণরোডের নিজ বাসাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।-বিনোদন তোলপাড়।
রবিন মন্ডল গণমাধ্যমকে জানান, গত ৬ অক্টোবর ৯৬ এ পা রেখেন মাসুদ আলী খান। বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ এই শিল্পী। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেয়া হয়েছিলো হাসপাতালে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।
তিনি আরও জানান, অভিনেতার এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তার ছেলের সিদ্ধান্তের উপরই সব নির্ভর করছে। মাসুদ আলী খানের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে। মনে হয় সেখানেই তাকে দাফন করা হবে। তবে মাসুদ আলী খানের দাফন কোথায় ও কখন হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি রবিন মন্ডল।
প্রসঙ্গত, মাসুদ আলী খান মঞ্চে অভিনয় দিয়ে শুরু নাট্যাঙ্গনে। ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হওয়ার পর ছোট পর্দায় অভিষেক তার। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন বাংলা নাটকের চেনা মুখ। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর পথচলা শুরু। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরি জীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।









ঢাকা অফিস:
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফার্মগেট ঢাকা-১২১৫ ।